বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ১০, ২০২৪
Led02রাজনীতি

‘চিল মুডে’ শামীম, চাপে গাজী-বাবু-কায়সার

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: দলীয় মনোনয়নপত্র ঘোষণার পরও দল সমর্থিত অনেককেই স্বতন্ত্র হিসেবে দাঁড়ানোর অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এরই ধারাবাহিকতায় নৌকার মাঝি ঘোষাণার পরও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন আসনে স্বতন্ত্র হিসেবে দাঁড়িয়েছেন ক‘জন আওয়ামীলীগ নেতা। রাজনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, এক দিকে বিএনপির অনুপস্থিতি, অন্যদিকে স্বতন্ত্র হয়ে দাঁড়ানোর সুযোগের ফলে নৌকার মাঝিদের এবার চাপ পোহাতে হবে।

নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে দল থেকে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীকে নৌকার মাঝি ঘোষণা করা হয়েছে। স্বভাবতই আওয়ামীলীগ অনুসারীদের ভোটই তার ঝুড়িতে আসবে। কিন্তু ভোটের ঝুড়িতে এবার টানা-পড়া পড়তে পারে এবার, স্বতন্ত্র হিসেবে প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি শাহজাহান ভূঁইয়া। যার দরুণ আওয়ামীলীগ পন্থীরা ছুটছেন তার দিকে এমনটাই বলছেন রাজনীতিবিদরা। তার উপর ভোটের ঝুড়ির কাড়াকাড়িতে আরও চাপ বাড়াবে তৃণমূল বিএনপির মহা সচিব তৈমুর আলম খন্দকার। গুঞ্জন উঠেছে, গাজী, শাহজাহান ও তৈমুর মাঠে নামলে হবে তমুল লড়াই।

এদিকে, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে ৩ বার সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন আড়াইহাজার উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবু। এবার নৌকার মনোনিত প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে দাঁড়ানোর পরও টেনশনে পড়তে পারেন তিনি। সূত্র মতে, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় যুবসংহতির সভাপতি আলমগীর সিকদার লোটন হবেন বাবুর জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ। এর উপর নির্বাচনে নেই বিরোধীদল বিএনপির কেউ। আগের চাইতে ভিন্ন প্রেক্ষাপট বাবুর নির্বাচনী মাঠে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।

সোনারগাঁয়ের মানুষ ধারণা করছে, এবার বুঝি খোকা-কায়সারের হাড্ডাডাড্ডি লড়াই উত্তাপ ছড়াবে পুরো নারায়ণগঞ্জে। কিন্তু নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের নৌকার মাঝি আবদুল্লাহ আল কায়সার হাসনাতকে খোকার পাশাপাশি চেক দিয়ে রাখতে হবে অপর এক জনকে, সে হলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী এরফান হোসেন দীপ- এমনটাই বলছেন বোদ্ধা মহল।

অন্যদিকে, মাঠে গোলকিপার হয়ে প্রস্তুত থাকছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান। কিন্তু গোলপোস্টে এসে শুট করার মতো কোন শক্তিশালী খেলোয়ার নেই বলছে ভোটাররা। রাজনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে শামীমের বিপরীতে নেই কোন হেভিওয়েট প্রার্থী, যার জন্যে নির্বাচনী মাঠে কোন চাপ ছাড়াই চিল মুডে থাকতে পারবেন তিনি। নির্বাচনের মাঠ কে কাপাবে, কে ভোটারদের মন জয় করবে তা জানা যাবে ১৮ ডিসেম্বর। ওইদিন প্রতীক বরাদ্দ দেবার পরই মাঠে নামবেন প্রার্থীরা। আগামী ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র বাছাই পর্ব চলবে। বাছাই পর্ব শেষ হলে মনোনয়ন আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারিত হয়েছে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ১৮ ডিসেম্বর। একই দিন হতে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করতে পারবে প্রার্থীরা। প্রচারণা চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। সব কিছু ঠিক থাকলে ভোট হবে ৭ জানুয়ারী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

RSS
Follow by Email