অটোরিকশা চালক হাবিব হত্যায় না.গঞ্জ-বনানী থেকে ৩জন গ্রেপ্তার
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: অটোরিকশা চালক হাবিবুর রহমান হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৩। বৃহস্পতিবার রাতে নারায়ণগঞ্জ সদর ও ঢাকার বনানী থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. আরিফ (২২) এবং দুই ভাই পারভেজ বেপারী (২৬) ও সজিব বেপারী (২২)। তিনজনই শরীয়তপুরের সখিপুর এলাকার বাসিন্দা। এর আগে গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর নড়িয়া উপজেলার ঘড়িসার বাজার থেকে অটোরিকশা চালিয়ে সখিপুর থানার দুলার চর এলাকায় যাওয়ার পথে খুন হন হাবিব।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব-৩ বলেছে, টাকা পয়সার লেনদেন নিয়ে অটোরিকশা চালক হাবিবুর রহমান ওরফে হাবু মাদবরের সঙ্গে আরিফের ঝগড়া ও হাতাহাতি হয়েছিল। তখনই হাবিবকে ‘খুনের পরিকল্পনা’ করেন আরিফ। গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর নড়িয়া উপজেলার ঘড়িসার বাজার থেকে অটোরিকশা চালিয়ে সখিপুর থানার দুলার চর এলাকায় যাওয়ার পথে খুন হন হাবিব।
র্যাব বলছে, আরিফ তার বন্ধু নাহিদ সরদার, পারভেজ বেপারী, সজিব বেপারীসহ আরও কয়েকজনকে নিয়ে সেদিন সখিপুরের কাঁচি কাটা ইউনিয়নের ৮৯ নম্বর হাজিয়াবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে অপেক্ষা করছিলেন। চাকু, চাপাতি, সুইচ গিয়ারসহ আরও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ছিল তাদের সঙ্গে। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হাবিবের অটোরিকশা স্কুলের সামনে পৌঁছালে পথ আটকে তার ওপর হামলা চালানো হয়। গুরুতর অবস্থায় স্থানীয় একটি সরকারি হাসাপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব বলেছে, হাবিবকে গুরুতর আহত করে পালানোর সময় স্থানীয় লোকজন নাহিদ সরদারকে আটক করে এবং স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেয়। নাহিদ অপরাধ স্বীকার পরে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন এবং এ ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী আরিফ ও অন্যান্য আসামিদের নামও বলেন।
র্যাব জানিয়েছে, আরিফ সখিপুর এলাকায় মাদক ব্যবসায় জড়িত। আরিফও মাঝে মাঝে অটোরিকশা চালাতেন, কখনো কখনো ট্রাকের হেলপারিও করেছেন। তবে তার মূল কাজ কিশোর গ্যাং ও মাদক কারবারিদের চক্র পরিচালনা করা। পারভেজ এবং সজিব বেপারী দুই ভাই; পারভেজ অষ্টম এবং সজিব নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে। আরিফের নেতৃত্বে ওই এলাকায় বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কাজে দুই ভাই জড়িত বলে র্যাবের ভাষ্য।