শনিবার, নভেম্বর ২৩, ২০২৪
Led05জেলাজুড়েশিক্ষাসিদ্ধিরগঞ্জ

আগে মাঠে খেলতো, এখন মোবাইল হাতে ঘরে: জেলা শিক্ষা অফিসার

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: সিদ্ধিরগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াসউদ্দিন ইসলামিক সিটি স্কুলে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি মৌচাক মদিনা মসজিদের নিকট স্কুল প্রাঙ্গনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা শিক্ষা অফিসার মো. ইউনুছ ফারুকী।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে ইউনুছ ফারুকী বলেন, শুধুমাত্র জিপি-৫ পাওয়া নয়। আমাদের অভিভাবকরা এখন জিপি-৫ পাওয়ার পিছে দৌড়াচ্ছে। আমাদের শিক্ষকরাও এই জিপি-৫ পাওয়ার পিছে দৌড়াচ্ছে এবং একটি প্রতিষ্ঠানকে মূল্যায়ন করা হয় সেই প্রতিষ্ঠানের ফলাফল কতটুকু ভালো। আসলে বিষয়টি কিন্তু তা নয়।

তিনি বলেন, আমি অভিভাবকদের বলবো জিপিএ-৫ পিছনে দৌড়ানোর কোন প্রয়োজন নেই। ভালো মানুষ হতে হবে। পশুত্বের গুণাবলিকে দাবিয়ে রেখে মনুষত্বের গুণাবলিকে বিকশিত করাই হলো শিক্ষার লক্ষ ও উদ্দেশ্য। আপনি যদি আপনার সন্তানকে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন, সেটাই হবে প্রকৃত শিক্ষা।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য- আমাদের কর্মকর্তারা বা আমরা যারা বিভিন্ন পদে আছি, আমরা খুব ভালো ভালো কথা বলি। খুব সুন্দর সুন্দর কথা বলি। কিন্তু বাস্তবে তার উল্টো অধিকাংশ মানুষের মধ্যেই। তাহলে আমাদের ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা কী শিখবে আমাদের কাছ থেকে? আমি শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করবো, শিক্ষকদের কথা শুনতে হবে। স্কুলে নিয়মিত আসতে হবে, অভিভাবকদের কথা শুনতে হবে। এক সময় আমরা দেখতাম- ছেলেরা মাঠে খেলতে যেতো, মা-বাবা টেনে বাসায় নিয়ে আসতো। এখন ছেলেদের আর খেলাধুলায় নেওয়া যায়না। এখন ছেলেদের ঘর থেকে বের করা যায়না। এখন তাদের হাতে মোবাইল। বিশেষ করে নবম-দশম শ্রেণীর বাচ্চাদের হাতে মোবাইল। কিন্তু এই মোবাইলের অপব্যবহার করা যাবেনা। এখান থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। শিক্ষা বিস্তারে, শিক্ষার প্রশারে একটি জাতির উন্নয়ণের একমাত্র চাবিকাটি হলো শিক্ষা। সুতরাং এর বাইরে আমাদের অন্য কিছু চিন্তা করার সুযোগ নেই।

অনুষ্ঠান সভাপতিত্ব করেন স্কুলটির প্রধান শিক্ষক আহাম্মদ হোসেন ও পরিচালনা করেন শিক্ষক ওবাইদুর রহমান টিপু। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রথমিক শিক্ষা অফিসার ফেরদৌসি বেগম। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা শিক্ষা অফিসের গবেষনা কর্মকর্তা নাজমুন নাহার।

আরও উপস্থিত ছিলেন উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ইডিবি) এবাদুল হক, ইদ্রসি আলী, হাজী আবুল কাশেম, ফারুক আহমেদ, মোক্তার হোসেন, মোহাম্মদ আউয়াল, ইসমাইল হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম ও কাউছার আহমেদ প্রমূখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

RSS
Follow by Email