শনিবার, নভেম্বর ২৩, ২০২৪
জেলাজুড়েবন্দররাজনীতি

আমার মায়ের পর আমার মুরুব্বী শেখ হাসিনা : সেলিম ওসমান

লাইভ নারায়ণগঞ্জ : সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান বলেন, আমি কিন্তু আওয়ামী লীগ করিনা। আমার কোন দাম নেই। আমি আমার বাবার নাম স্কুল বানাতে পেরেছি। বাংলাদেশের অনেক স্কুল থেকে এই স্কুলটি যথেষ্ট সুন্দর। আমি বানাতে পেরেছি নাগীনা যোহা স্কুল। আমার রত্নগর্ভা মায়ের জন্য আপনারা দোয়া করবেন। আমার মায়ের পর আমার মুরুব্বী শেখ হাসিনা ।

মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্দ্যায় বন্দর ২৬ নং ওয়ার্ড গোকুল দাসের বাগ এলাকায় এক নির্বাচনী মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন।

সভায় তিনি আরো বলেন, এখন পর্যন্ত নয়টি স্কুলের ভবন আমি করতে পেরেছি। আর প্রতিটা স্কুল হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে। ফজিলাতুন্নেছা ভবন, নারায়ণগঞ্জ কলেজের শেখ কামাল ভবন, আমি নিজে সেখানে দায়িত্ব পালন করে আমি বানাতে পেরেছি। শেখ জামাল স্কুল আমি বানাতে পেরেছি । ব্যক্তিগত তহবিল হতে ৬ তলা ফাউন্ডেশন দিয়ে সাতটা ইউনিয়নের, সাতটা স্কুল করতে পারেছি। আমি দেখেছিলাম স্কুলের বাচ্চাদের বাথরুমে যেতে হলে বাহিরের বাথরুমে যেতে হয়। এর এটি দেখার পর আমি জাহিদ ভাই, রশিদ ভাই, আমরা একসাথে বসলাম। আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম প্রতিটি ইউনিয়নের একটি করে স্কুল করতে হবে। তখন সরকারিভাবে সেরকম ফান্ড আসেনি। যখন আমি ফাউন্ডেশন দিয়ে স্কুল করা শুরু করলাম তখন প্রধানন্ত্রী আমাকে প্রশ্ন করেছিলেন, যে ফাউন্ডেশন দিয়ে কেন স্কুল করছো? আমি বলেছি, ফাউন্ডেশন দিয়ে স্কুল করার মানে হচ্ছে আমার ছেলে মেয়েরা যাতে খেলাধুলা করতে পারে। আর না হলে ফাউন্ডেশন এর টাকা দিয়ে আমরা আরো বিশটা স্কুল করতে পারতাম। আমাদের কাছে আগামীতে আরো সুশিক্ষিত মানুষ আসবে।

এমপি আরো বলেন, নবীগঞ্জ যেখানে ফেরি চলে সেখানে ব্রিজ হওয়ার কথা ছিল কিন্তু আমি পারিনি। তার পেছনে একটাই কারণ করোনা ভাইরাস। সারা বিশ্বের দুইটা বছর আল্লাহ আমাদেরকে শাস্তি দিলেন। কিন্তু আল্লাহর রহমতে আমাদের দেশের মানুষের শেখ হাসিনাকে পেয়েছে। আমাদের বাংলাদেশে অনেক দেশের আগেই বিনামূল্যের টিকা দিতে পেরেছিলাম আলহামদুলিল্লাহ করোনাকে দূর করে দিতে পেরেছি। করোনায় যাতে কেউ খেতে না পেয়ে মরে না যায়। তাই রশিদ ভাইয়ের নেতৃত্বে বিভিন্ন জায়গায় মানুষের বাসায় খাবার দানা পৌঁছে দিয়েছি। আমার চেয়ারম্যান কাউন্সিলর সবাই কাজগুলো করেছেন। আমরা প্রতি জায়গায় ভলেন্টিয়ার নিয়োগ দিয়েছে প্রতি মাসে ৬ হাজার টাকা করে তাদের বেতন দিয়েছি । আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ বানাতে পেরেছি । আপনি আজ ঢাকা থেকে ট্রেনের কক্সবাজার যাওয়া যাবে । দেশের যেকোনো কোনায় সর্বোচ্চ ছয় থেকে সাত ঘন্টা যাওয়া যাবে। ১৯৯৬ সালের গার্মেন্টসের দায়িত্ব দিয়ে আদেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী । আমি দায়িত্বই নিয়ে হুঁশিয়ারি শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে গেছি। আজ বিভিন্ন ডিস্ট্রিক্ট থেকে এসে ৪৫ লক্ষ মানুষ এখনে শিল্প কাজ করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

RSS
Follow by Email