শনিবার, নভেম্বর ২৩, ২০২৪
Led02রাজনীতি

আ.লীগ-বিএনপিকে অনুসরণ না করে রাজপথে নামবে জাতীয় পার্টি

#যে হারে উন্নয়ন করা হয়েছে, আবারও জাতীয় পার্টিকেই নির্বাচিত করবে: সানু
#আমরা না.গঞ্জে শক্তিশালী কারণ আমরা ঐক্যবদ্ধ: মোদাচ্ছেরুল হক দুলাল
#জাতীয় পার্টি না.গঞ্জে সাংগঠনিক ভাবে ব্যাপক এগিয়ে: আফজাল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইভ নারায়ণণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জে রাজনীতির মাঠ বেশ গরম। রাজনৈতিক বড় দুটি দল আওয়ামী লীগ-বিএনপি পাল্টপাল্টি কর্মসূচিতে মাঠে থাকলেও তাদের অনুসরণ না করেই এবার রাজপথে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় পার্টির। তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন ঊর্ধ্বগতিসহ জনজীবনের বিভিন্ন সমস্যা নিরসনের ধারাবাহিকভাবে কর্মসূচি পালন করবে দলটি। একইভাবে কেন্দ্রীয় নির্দেশনায় ঝাপিয়ে পড়তে প্রস্তুত আছে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টি।

জানা যায়, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন ঊর্ধ্বগতিসহ জনজীবনের বিভিন্ন সমস্যা নিরসনের দাবিতে নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশে ধারাবাহিকভাবে কর্মসূচি পালন করবে দলটি। ইতোমধ্যে জেলা জাতীয় পার্টি সম্মেলন সম্পন্ন করার মধ্য দিয়ে নিজেদের ঘর গোছানোর কাজটি শেষ করেছে। এখন পুরোদমে চলবে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রস্তুতিও। এজন্য দলের সম্ভাব্য প্রার্থীদের আর বসে না থেকে এখনই যার যার নির্বাচনি এলাকার মাঠ গোছানোর কাজে মনোনিবেশ করতে বলা হয়েছে কেন্দ্র থেকে।

সূত্র জানায়, চলতি মাসের ৫ আগস্ট কেন্দ্রীয় এক বৈঠকে নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় পার্টির জোটভুক্ত হওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। তবে এ ক্ষেত্রে কোনো ধরনের তাড়াহুড়া না করে রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ এবং শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করার বিষয়ে মত দেন দলটির নীতিনির্ধারকরা। অনেকে এখনই এদিক-ওদিক না গিয়ে জোট করার ক্ষেত্রে আরও কৌশলী ভূমিকা নেওয়ার কথা বলেন। নীতিনির্ধারকদের বেশিরভাগই দল গোছানো, দলকে শক্তিশালী করা এবং আপাতত এককভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণের পাশাপাশি জনজীবনের বিভিন্ন সংকট নিয়ে ধারাবাহিকভাবে কর্মসূচি দিয়ে রাজপথে জাতীয় পার্টির সরব উপস্থিত থাকার পক্ষে মত দেন।

তবে নেতারা জানান, সরকার ও বিরোধী উভয় বলয়ে থাকা রাজনৈতিক দলগুলো এখন রাজপথে। একদফা দাবিতে একপক্ষ আরেকপক্ষের সঙ্গে মুখোমুখি অবস্থানে। জাতীয় পার্টিও বর্তমান সংসদের প্রধান বিরোধী দল। তাই দলটির রাজপথে সরব থাকা উচিত। তবে এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে অনুসরণ করা ঠিক হবে না। বিকল্প হিসাবে জনজীবনের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে ধারাবাহিকভাবে কর্মসূচি দিয়ে মাঠে থাকলে সাধারণ মানুষ মনে করবে যে জাতীয় পার্টিও রাজপথে আছে। ভোটের রাজনীতিতে যা ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির একাধিক সূত্র জানিয়েছে, আগামী ৯ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মোহাম্মদপুরে একটি বড় ধরনের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে কেন্দ্রীয় নির্দেশে জেলা জাতীয় পার্টি অংশগ্রহন করবে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি সানাউল্লাহ সানু লাইভ নারায়ণগঞ্জকে বলেন, আমরা কেন্দ্রীয় ভাবে যে কোন ধরণের বার্তা আসলেই নারায়ণগঞ্জ জাতীয় পার্টি সব সময় প্রস্তুত থাকে এবং আমাদের অংশগ্রহন থাকবে সর্বোচ্চ। বিগত ১৫ বছর যাবত আমাদের জাতীয় পার্টি নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় টিকে আছে নারায়ণগঞ্জের দুটি আসনে। এছাড়া নির্বাচন নিয়ে আমরা যথেষ্ট প্রস্তুত আছি। জাতীয় পার্টির আসনের যে হারে উন্নয়ন করা হয়েছে, এতে মানুষ আবারও জাতীয় পার্টিকেই নির্বাচিত করবে। ৯ সেপ্টেমবর রাজধানীতে একটি বড় ধরনের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে, যদি কেন্দ্রীয় নির্দেশ থাকে তাহলে আমরা ব্যাপক ভাবে অংশগ্রহন করবো। কারণ নারায়ণগেঞ্জ জাতীয় পার্টি সাংগঠনিক ভাবে অনেক শক্তিশালী আছে।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি মোদাচ্ছেরুল হক দুলাল লাইভ নারায়ণগঞ্জকে জানান, আমরা ইতোমধ্যে প্রায় সব গুলো ওয়ার্ড ইউনিয়ন ভিত্তিক কমিটি গুলো গুছিয়ে ফেলেছি। আমরা জাতীয় পার্টির নেতা ও সাংসদ সেলিম ওসমানের নির্দেশে অনেক শক্তিশালী অবস্থানে আছি। ভোটের মাঠে জাতীয় পার্টি ব্যাপক শক্তিশালী আছে। কারণ ২০০৯ থেকে জাতীয় পার্টি নারায়ণগঞ্জে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। এছাড়া সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান সরকারি বরাদ্ধ থেকে উন্নয়ন তো করেছেনই পাশাপাশি সরকারি বরাদ্ধের বাহিরে গিয়ে নিজ অর্থায়নে অনেক উন্নয়ন ও জনসেবা করেছেন। আগামী ৯ সেপ্টেমবর রাজধানীতে বড় সমাবেশ হবে, সেই সমাবেশকে কেন্দ্র করে এখনো কোন নোটিশ পাইনি তবে আমরা প্রস্তুত আছি। আমরা নারায়ণগঞ্জে শক্তিশালী কারণ আমরা ঐক্যবদ্ধ।

এদিকে, আওয়ামী লীগ-বিএনপি মাঠে আছি আমরাও মাঠে সক্রিয় আছি। কেন্দ্রীয় ভাবে আমাদের রাজপথে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা নারায়ণগঞ্জের নেতাকর্মীরা রাজপথে মানুষের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে প্রস্তুত আছি। আমরা কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ি ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটা কর্মসূচি পালন করেছি। বিগত সময়ে যেমন রাজপথে ছিলাম এখনও আছি। তাছাড়া আমরা আশাবাদী জনগণের সাথে নারায়ণগঞ্জে যে উন্নয়ণ জাতীয় পার্টি করেছে তাতে ভোটের মাঠে আমরা জয়লাভ করবো। রাজধানীতে বড় সমাবেশ হওয়ার কথা যদি কেন্দ্রীয় নির্দেশনা থাকে তাহলে আমরা অন্যান্য জেলার থেকেও ভালো উপস্থিতির মাধ্যমে অংশগ্রহন করবো। কারণ বর্তমানে জাতীয় পার্টি নারায়ণগঞ্জে সাংগঠনিক ভাবে ব্যাপক এগিয়ে আছে বলে মন্তব্য করেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও কাউন্সিলর মো. আফজাল হোসেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

RSS
Follow by Email