কাঁচপুরে পুলিশ-বিএনপির সংঘর্ষ, গুলি-টিয়ারশেল নিক্ষেপ
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইভ নারায়ণগঞ্জ: কাঁচপুরে বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। ওই ঘটনায় পুলিশসহ অন্তত ১০জন আহত হয়েছে।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার (১৯ আগস্ট) বিকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে জেলা বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচী চলাকালে ওই ঘটনা ঘটে। বিএনপির নেতাদের দাবি পুলিশ বিনা উস্কানিতে হামলা করেছে। পুলিশ জানিয়েছে জনগণের জানমাল রক্ষায় রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে চার দিনের কর্মসূচির শেষ দিনে কন্দ্রীয় কমিটির সহ- আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদের নেতৃত্বে লোকজন পদযাত্রা কর্মসূচি পালনের জন্য কাঁচপুর ব্রীজের পূর্ব পাশে অবস্থান নেয়। এ সময় পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের সড়কে অবস্থান নিতে বাঁধা দিলে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশকে উদ্দেশ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে শুরু করে। পুলিশও রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে।
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চাউলাউ মারমা জানান, পদযাত্রার নামে বিনা অনুমতিতে মহাসড়কে শৃঙ্খলা করার চেষ্টা করা হয়। ঢাকা চট্টগ্রাম ও সিলেট মহাসড়কের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় তারা যানচলাচলে ব্যাঘাত ঘটাতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। এসময় তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়লে পুলিশ জনগণের জানমাল রক্ষায় রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমান মহাসড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন জানান, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে রাস্তার পাশে অবস্থান নেওয়ার সময়ে পুলিশ এসে অতর্কিত লাঠিচার্জ করেছে। পুলিশ আমাদের নেতাকর্মীদের উপর টিয়ার সেল ও গুলি ছুড়েছে। এতে অনেকেই আহত হয়েছে।
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব আলম জানান, অনুমতি ছাড়াই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে জেলা বিএনপি পদযাত্রা কর্মসূচি করতে চেয়েছিল। আমরা তাদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরে যেতে বললে তারা আমাদের উদ্দেশ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। আত্মরক্ষার্থে আমরা কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট এবং টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেই। বর্তমানে পরিস্থিতিতে শান্ত রয়েছে।
নারায়াণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন দাবি করেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ- আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ তার লোকজন নিয়ে মিছিল করে কাঁচপুরের আসলে পুলিশ বিনা উস্কানিতে হামলা চালায়, গুলি ছোড়ে।