শুক্রবার, অক্টোবর ১৮, ২০২৪
Led03জেলাজুড়েফতুল্লা

গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু, পরিবারের দাবি ‘হত্যা’

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: হাসপাতাল থেকে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের পরিবারের দাবি তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে খানপুর ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল থেকে ওই লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে, রবিবার দিবাগত রাতে ফতুল্লা লাকী বাজার এলাকায় তার নিজ বাড়িতে অচেতন হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তার মৃত্যু হয়েছে।

নিহত গৃহবধুর নাম জেসমিন বেগম (৩৬)। চাঁদপুরের উত্তর মতলব থানার দশআনী গ্রামের মৃত গোলাম মোস্তফার মেয়ে। তিনি স্বামী ও দুই সন্তান নিয়ে লাকী বাজার এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাতে গৃহবধূ জেসমিন বেগম ঘরের ফ্যান মুছতে গিয়ে পড়ে আহত হলে তাকে নগরীর খানপুর হাসপাতাল নেওয়া হয়। পরে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেলেও মৃত্যুর কারণ ময়নাতদন্তের পরে নিশ্চিত করে বলতে পারবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
তাছাড়া আঘাতের কারণে নাকি অন্যকোনও কারণে ওই নারীর মৃত্যু হয়েছে তা এখনও নিশ্চিত নয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে নিহতের লাশ হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

নিহতের স্বজনরা দাবি করেন, নিহত জেসমিন বেগমের চার ভাই প্রবাসী হওয়ায় নানা অজুহাতে তার কাছে টাকা চাইতেন স্বামী আলী হোসেন। ১০ দিন আগেও জেসমিনকে টাকার জন্য মারধর করে। ওই নারী তার মেজো ভাইকে মারধরের ঘটনা জানান। এ নিয়ে ওই রাতে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এই ঘটনার প্রায় ১০ দিন পরে রবিবার রাতে নিহতের পরিবারকে স্বামী ফোন করে জানান, জেসমিনকে হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়েছে। পরে পরিবারের লোকজন হাসপাতালে এসে নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে। এ সময় হাসপাতাল ফটকে আহাজারি করে নিহতের স্বজনরা পিটিয়ে ও আঘাত করে হত্যার দাবি করেন। তারা জড়িতদের শাস্তি দাবি জানান।

ফতুল্লা মডেল থানার ইন্সপেক্টর (অফিসার ইনচার্জ) নুরে আজম মিয়া বলেন, আমরা লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেছি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। নিহতের স্বজনরা দাবি করেছেন এটা হত্যাকাণ্ড। তাই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিযুক্ত স্বামীকে থানায় নিয়ে এসেছি। মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

RSS
Follow by Email