শনিবার, নভেম্বর ২৩, ২০২৪
Led04জেলাজুড়েফতুল্লারাজনীতি

গ্যাস সংকটে বাইপাস লাইনের মাধ্যমে সমাধানের চিন্তা করছি: সেলিম ওসমান

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান বলেন, এখন বর্তমানে যে পরিমাণ গ্যাস আছে তাতে কোন ভাবে হয়তো ভাত রান্না করা যাবে কিন্তু আমাদের কারখানা তো চলবে না। বিকেএমইএ এর সভাপতি হিসেবে এই নিয়ে অনেক প্রেসারে আছি । চিন্তা করছি একটি বাইপাস গ্যাসলাইন নিয়ে মানুষের আপাতত সংকট দুর করার। গ্যাস থাকলে নারায়ণগঞ্জ এর ব্যবসা বাণিজ্য ঠিক থাকবে।

শনিবার (২০ জানুয়ারি) ফতুল্লায় উইজডম অ্যাটায়ারস লিমিটেড ফ্যাক্টরীতে নির্বাচিত হওয়ায় জনপ্রতিনিধি ও নেতাদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় কথা বলেন তিনি।

সেলিম ওসমানের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দন শীল, বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রধান ও মেম্মারগণ, বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহম্মেদ ও মেম্বারগণ, মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মাকসুদ হোসেন ও মেম্বারগণ, ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কামাল হোসেন ও মেম্মারগণ, মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী এম এ সালাম ও মেম্মারগণ, আলীরটেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন ও গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজর আলী ও মেম্মারগণ।

এসময় তিনি আরো বলেন, সাধারণত নির্বাচনের দিন ফুটপাতে দোকানগুলো খোলা থাকে। এদিন মানুষ বেচাকেনা নিয়ে আনন্দ করে। কিন্তু এবার ফুটপাতের দোকানগুলো খোলা ছিল না সবগুলো বন্ধ ছিল। তাই এই কারণেই হয়তো ভোট পার্সেন্টেজ কম হয়েছে। কিন্তু একটা দল মনে করে তাদের ডাকেই জনগণ ভোট দিতে আসেনি। পৃথিবীর এমন কোন দেশ নেই যেখানে ৩০ পার্সেন্ট এর ওপরে ভোট কাস্ট হয়। আলহামদুলিল্লাহ আমাদের এখানে ৪০ শতাংশ ভোট হয়েছে । ঢাকার দিকে ২৭ পার্সেন্ট উপরে ভোট কাস্ট হয়নি। ঢাকার অনেক মানুষ নির্বাচনের ছুটি পেয়েছে চলে গিয়েছে।

এমপি সেলিম ওসমান বলেন, আমরা যারা জয়ী হয়েছি বা জনপ্রতিনিধি আছেন তারা সবাই শান্তিপূর্ন ভাবে কাজ করেন। প্রতি নির্বাচনে আমাদের মাঝখানে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়। সেটা হোক প্রতি পাঁচ বছর পর সংসদ নির্বাচন বা উপজেলা নির্বাচন। সে দিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। আমরা কোন প্রতিযোগিতায় যাবো না। নির্বাচনের আগে এবং পরে আমি মেয়রের সাথে কথা বলেছি আমরা ইউনিয়নকে একটা পর্যায়ে নিয়ে আসতে পেরেছি। আমরা পূর্বের নির্বাচনের কথা মনে না রাখি। আসুন সবাই সবাই শান্তিপূর্ণভাবে কাজ করি। আমাদের নিজেদের মাঝখানে কোন প্রতিযোগিতা না আসুক। আমি চেয়ারম্যানের অনুরোধ করছি, আপনাদের হাতে তিনটা বছর সময় আছে। এই তিনটা বছর কাজ করেন। আমিও পূর্বে যা করেছি সেগুলোর জন্য আরও কিছু কাজ বাকি আছে। সেগুলো আমাকে করতে হবে যদি না করতে পারি তাহলে সব কাজগুলো শূন্য হয়ে যাবে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্না, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিএম আরমান, সহ সভাপতি রবিউল হোসেন, যুব ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির মৃধা, ১২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নিয়াজুল ইসলাম খান, ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, ১১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দিন, আওআমী লীগ নেতা নাসির উদ্দিন প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

RSS
Follow by Email