শনিবার, নভেম্বর ২৩, ২০২৪
Led01জেলাজুড়েফতুল্লারাজনীতি

জনগণ সচেতন না হলে শামীম ওসমান পারবে না: শাহ নিজাম

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম বলেন, ফতুল্লায় আমরা ১০টি প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করছি। আমরা ইতোমধ্যে কুতুবপুর, বক্তাবলী, এনায়েতনগর, কাশিপুর এ সাড়ে ৬শ‘ কোটি টাকার রাস্তা করেছি। প্রত্যেকটি রাস্তাই আরসিসি করা হয়েছে যেটা ১৫-২০ বছরেও ভাঙবে না। কিন্তু সমস্যা হলো জলাবদ্ধতা। আমি নিজেও রাস্তা দিয়ে চলার সময় পানি জমে থাকতে দেখেছি। সেদিন আমি আমার প্রয়োজনে মোটরসাইকেলে করে জলাবদ্ধতার মধ্য দিয়ে গিয়েছি। এই সমস্যার কথাটি নিয়ে আমি ভেবেছি। এখানকার জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসী আমাকে জানান সমস্যাটি নিয়ে, আরও তথ্য দিন। আমরা ইঞ্জিনিয়ার পাঠাবো।

শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২ টার দিকে ফতুল্লায় ক্যালিক্স প্রি-ক্যাডেট স্কুলে ‘সুন্নতে খাতনা ও ম্যাডিক্যাল ক্যাম্পে’ আলোচনা সভায় এ সব কথা বলেন তিনি। ৯ ও ১০ ফেব্রুয়ারি এই দুই দিন ক্যাম্পের আয়োজন করে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন ফতুল্লা প্রি-সেল। এর সহযোগিতায় ছিলেন ফতুল্লা যুব সংসদ ও শাপলা কুঁড়ির আসর। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ফতুল্লা যুব সংসদের সভাপতি আকতার ফারুক রিয়াদ ও উদ্বোধন করেন ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফরিদ আহম্মেদ লিটন। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা যুবলীগের সভাপতি মীর সোহেল আলী।

শাহ নিজাম বলেন, মানুষ হিসেবে আমরা কেমন জানি। আমরা যখন ঢাকায় বিমানবন্দর থেকে বাইরের দেশে যাই, প্লেনে উঠার ঠিক আগে থাকতে মুখের চিওয়িং গাম আশপাশে ফেলে দেই, চিপসের প্যাকেট ফেলে দেই। অথচ সিঙ্গাপুর নেমে চিওয়িংগাম টিস্যুতে করে প্যান্টে রেখে দিই। আবার যখন সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরে আসি আবার আগের মত যেখানে সেখানে আবর্জনা ফেলি। এটা আমাদের বাস্তবতা। ৪ ঘন্টার ব্যবধানে আমাদের চরিত্র পাল্টে যায়। আমরা যদি সামাজিকভাবে সচেতন না হই, নিজেরা সচেতন না হই তাহলে কাজ করে কোন লাভ হবে না। এলাকা সুন্দর করে গড়ে তোলা যাবে না।

তিনি বলেন, মাননীয় সংসদ সদস্য নিজ ইচ্ছে থেকে একটি সংগঠন তৈরী করেছেন ‘প্রত্যাশা’। এই প্রত্যাশা কাজ করবে মাদক, সন্ত্রাস, ইভিটিজিং, ভূমিদস্যু ঠেকাতে। এই চারটি হলো সামাজিক সমস্যা। এ সমস্যাগুলো আমাদের সমাধান করতে হবে। পাশাপাশি মানুষকে সাহায্য করতে হবে। গরীব মানুষদের চিকিৎসার আওতায় আনতে হবে, তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিতে হবে। এটাও প্রত্যাশার একটা অংশ। সেই সাথে আরেকটি অংশ হলো দরিদ্র মেধাবী ছাত্রদের পড়াশুনার ব্যবস্থা করে দেওয়া। ছাত্রের পরিবার দরিদ্র, পিতা খেটে খাওয়া মানুষ, দু বেলা খাবার জোটে না। সেই ছাত্র যদি পড়াশুনার সুযোগ পায়, সে সুশিক্ষিত হওয়ার সাথে সাথে পরিবারকে সচ্ছল করতে পারবে। তাই এই মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ার সুযোগ করে দিতে হবে। শামীম ওসমান চেয়েছেন প্রত্যাশার মাধ্যমের সমাজকে সুন্দর করতে। উনি চেয়েছেন সমাজের ভবিষ্যৎ সুন্দর করতে। কিন্তু যদি জনগণ সচেতন না হয়, তাদের মধ্যে আবেগ সৃষ্টি না হলে শামীম ওসমান, আমি, আপনি পারবো না। আপনাদের, সাধারণ মানুষদের সচেতন হতে হবে। অন্যকেও সচেতন করতে হবে। তবেই সমাজ সুন্দর করা সম্ভব হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

RSS
Follow by Email