দলের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে নিশ্চুপ আইভী, অনুপস্থিত সভা-সমাবেশে
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইভ নারায়ণগঞ্জ: দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়ে নানা সময় নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি সেলিনা হায়াত আইভী আখ্যায়িত হয়েছেন ‘সহসী কন্যা’ হিসেবে! আওয়ামী লীগের একটি অংশের বিরোধীতায় বিএনপি-জামাত-বাম দলকে সুবিধা দেয়ার অভিযোগ ত্যাগী ও তৃণমূল আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের। এবার এ নেত্রীর বিরুদ্ধে ভিন্ন অভিযোগ উঠেছে, ‘বর্তমানে দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সময়, আর তখনই নিশ্চুপ নৌকার মনোনয়নে নির্বাচিত মেয়র আইভী। তাকে দেখা যাচ্ছে না দলটির সভা-সমাবেশে।’
সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতে কমিউনিটি পুলিশিং এর সমাবেশে জেলার সকল এমপি, উপজেলার চেয়ারম্যান, দলীয় শীর্ষ নেতারা ছিলেন, রেখেছেন বক্তব্যে। ছিলেন না ওই সমাবেশে দলের গুরুত্বপূর্ণ নেত্রী সেলিনা হায়াত আইভী। অথচ ওই দিন তিনি নারায়ণগঞ্জ চারুকলা ইনষ্টিটিউটে এমন কিছু নেতা ও ব্যক্তিদের অনুষ্ঠানে ছিলেন, যারা সব সময় সরকার বিরোধী বক্তব্য ও সভা-সমাবেশ করে থাকে। এমন অভিযোগ করে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতারা আরও জানান, তাকে (আইভী) নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলনেও দেখা যায় নি। নগরীর খানপুরে অনুষ্ঠিত ওই সম্মেলনে বাহাউদ্দিন নাসিমসহ কেন্দ্রীয় অনেক নেতাই ছিলেন। শুধু তাই নয়, ঢাকায় আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কয়েকটি বৃহৎ কর্মসূচীতেও তিনি উপস্থিত থাকেন নি।
বিষয়টি নিয়ে আওয়ামীলীগ তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যেও চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। দলের শীর্ষ নেতাদের মুখেও সেলিনা আয়াৎ আইভীর এমন আচরণে কোন ‘উত্তর নেই’।
সেলিনা হায়াৎ আইভী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের। ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতির দায়িত্বে। কমিটি ভেঙ্গে দেওয়ার পর থেকে তেমন কোন কর্মসূচিতে তাকে দেখা যায়নি।
তবে, বিয়ষটিকে কটু দৃষ্টিতে দেখছেন নারায়ণগঞ্জ জেলার শীর্ষ নেতারা। তারা গণমাধ্যমের কাছে বলেছেন, ‘সেলিনা হায়াৎ আইভীর চার পাশে বরাবরই বিএনপি জামায়েতের লোকজন দেখা যায়। সরকারি বিরোধী লোকজনের সাথে সেলিনা হায়াৎ আইভীর সক্ষতা রয়েছে। তাদের মনঃক্ষুণ্ন হবে বলে, তিনি (মেয়র আইভী)আসেন না ও তার অবস্থান পরিস্কার করছেন না। এছাড়াও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভার পূর্বে তিনি সময় দিয়েছেন সরকার বিরোধী লোকজনের সাথে। যারা বিভিন্ন সময় শেখ হাসিনা ও সরকারের শাসন ব্যবস্থা নিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। প্রশ্নবিদ্ধ করতেন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার ও প্রধানমন্ত্রীর কর্মকাণ্ডকে।’
বর্তমান সময়টি ঐক্যের ও গুরুত্বপূর্ণ দাবি করে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই বলেন, কমিটি এখনও পুর্ণাঙ্গ হয়নি। কমিটি না হওয়া পর্যন্ত উপস্থিতির বিষয় নিয়ে কিছুই বলতে পারবো না। দলীয় সভা-সমাবেশের অনুপস্থিত থাকার বিষয়টি নিয়ে সেলিনা হায়াৎ আইভীই ভালো বলতে পারবে।
বিষয়টি নিয়ে কথা বলার চেষ্টা করা হয়েছিল নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি সেলিনা হায়াৎ আইভীর সাথে।
তৃণমূলের ক্ষোভ আর সভায় উপস্থিত না হওয়ার বিষয়ে জানতে ফোন দেওয়া হয় তাঁর মুঠোফোন নম্বরটিতে। কিন্তু তিনি ফোনটি রিসিভ না করায় জানা যায়নি তার মন্তব্য।
বৃহস্পতিবার একটি অনুষ্ঠানে মেয়র আইভী..