ধর্ষণ মামলায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলেন আরও ২ জন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইভ নারায়ণগঞ্জ: বাংলাদেশের কওমি মাদ্রাসা ভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় আরও ২ জন সাক্ষ্য প্রদান করেছেন।
এরা হলেন- সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টের পাবলিক রিলেশন অফিসার জাকির হোসেন ও স্থানীয় সাংবাদিক নূরুন নবী জনী।
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) বেলা সোয়া ১২টার দিকে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
পরে দুপুর সোয়া ১টা পর্যন্ত করা হয় জেরা।
দীর্ঘ প্রায় ১ ঘন্টার সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষে দুপুর দেড়টার দিকে মামুনুল হকের আইনজীবী এড. ওমর ফারুক নয়ন জানান, ‘সাক্ষীদের জবানবন্দী ও জেরায় প্রদান করা তথ্যের সাথে অনেক পার্থক্য রয়েছে। এতেই প্রমানিত হয় জান্নাত আরা ঝর্ণার দায়ের করা মামলায় মাওলানা মামুনুল হক নির্দোষ।’
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে কাশিমপুর কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জের আদালতে আনা হয় মামুনুল হককে।
২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে জান্নাত আরা ঝর্ণার সাথে অবস্থান কালে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাকে ঘেরাও করেন। পরে স্থানীয় হেফাজতের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এসে রিসোর্টে ব্যাপক ভাঙচুর করেন এবং তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান।
ঘটনার পর থেকেই মামুনুল হক মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসায় অবস্থান করছিলেন। এরপর সেখান থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। পরে এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলা করেন ঝর্ণা। তবে ঝর্ণাকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করেন মামুনুল হক।
কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণার দায়ের করা মামলায় ৪০ জন সাক্ষীর মধ্যে এখন পর্যন্ত ২৪ জন স্বাক্ষি সাক্ষ্য দিয়েছেন। আজ দুই নারী পুলিশ সদস্যসহ চার পুলিশ সদস্যকে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য সমন জারি ছিল আদালতের। কিন্তু তারা আদালতে উপস্থিত হয়নি।
পূর্বের নিউজ পড়তে ক্লিক করুন