শনিবার, নভেম্বর ২৩, ২০২৪
Led01বিশেষ প্রতিবেদনস্বাস্থ্য

নারায়ণগঞ্জে কিট সংকটে ৫০ টাকার ডেঙ্গু পরীক্ষা ৭০০ টাকা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইভ নারায়ণগঞ্জ: এক মাসের জন্য সারাদেশের সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষার ফি ১০০ টাকার পরির্বতে ৫০ টাকা করে দিয়েছে সরকার। কিন্তু নারায়ণগঞ্জে কিট সংকটের ফলে এই সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে মানুষ। প্রায় মাস খানেক ধরে ল্যাব সেবা কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ায় উল্টো বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে গুনতে হচ্ছে ৪ থেকে ৭ শত টাকা।

খানপুর ৩’শ শ্যাযা হাসপাতালে সন্তানের চিকিৎসা নিতে আসা আঁখি বেগম লাইভ নারায়ণগঞ্জকে জানান, পরীক্ষার ফি ৫০ টাকা না করে ১৫০ টাকা করা হোক। তারপরেও সরকারি হাসপাতালে সেবা নিশ্চিত করা হোক।

রাজধানী ঢাকায় ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দিলে ২০২৩ সালের ১২ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক বিশেষ সতর্কবার্তায় ১০০ টাকার পরীক্ষা ফি ৫০ টাকা করার ঘোষণা দেওয়া হয়।

নারায়ণগঞ্জ জেলার খানপুর ৩’ শয্যা হাসপাতালে গিয়ে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জে প্রতিদিন কয়েক শতাধিক রোগী জ্বর নিয়ে আসছে। এই মধ্যে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়ে ভর্তি আছে ৩৫ জন রোগী। এখানে ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট দিতে পারছে না সরকার। ফলে সরকারের এই বিশেষ উদ্যোগের সুফল পাচ্ছে না নারায়ণগঞ্জবাসী।

৩ ‘শ শ্যাযা হাসপাতালের জ্বর নিয়ে আসা রোগী আতিক লাইভ নারায়ণগঞ্জকে জানান, তার ডেঙ্গু আছে কি না জানতে ৭০০ টাকা লেগেছে। পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার গিয়ে পরীক্ষা করাতে হয়েছে।

তবে, অন্যান্য সেবার মান নিয়ে সন্তুষ্ট থাকার কথা জানিয়েছে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর স্বজনরা।

খানপুর ৩’ শয্যা হাসপাতালের চিকিৎসা তত্তাবধায়ক (উপ-পরিচালক, স্বাস্থ্য) ডা. মো. আবুল বাসার লাইভ নারায়ণগঞ্জকে বলেন, ‘কিট সংকট থাকায় এই হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। দিন দিন হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর চাপ বাড়ছে। কিটের জন্য আমরা অধিদপ্তরে চিঠি পাঠিয়েছি। তারা দিতে পারছে না। বাহিরেও কিট কনতে পাওয়া যাচ্ছে না।

একই অবস্থা নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের। সেখানেও ডেঙ্গু পরীক্ষায় বেগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

নারায়ণগঞ্জ সিভিল সার্জন অফিস বলছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ৬ মাসে জেলায় মাত্র ৫০ জন রোগী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিল। তবে, গেলো জুলাই মাসে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে ৩৫০ জনের।

ডেঙ্গুর কিটের বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডা. এ এফ এম মুশিউর রহমান লাইভ নারায়ণগঞ্জকে বলেন, হঠাৎ জ্বরের রোগী বেড়ে গেছে। তাই কিটের চাহিদা বেশি। মন্ত্রণালয় আমাদের বাহির থেকে কিট ক্রয়ের অনুমতি দিয়েছে কিন্তু সেখানেও কিটের সংকট, তাই দাম বেশি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

RSS
Follow by Email