নারায়ণগঞ্জে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা বন্ধ, সরকারিতে অতিরিক্ত চাপ
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের বেসরকারি পর্যায়ের বিভিন্ন হাসপাতালে সেবা নিতে গিয়ে চিকিৎসক না থাকায় ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছে রোগী। অনেকে হাসাপাতালে রোগ পরীক্ষা করিয়েও চিকিৎসকের অভাবে রিপোর্ট পাচ্ছে না। বাঁধ্য হয়ে সরকারি হাসপাতালে গেলেও অতিরিক্তি রোগীর চাপে দুর্ভোগ বেড়েছে সেখানে। এতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সরকারি হাসাপাতালের চিকিৎসকদের।
দূরদূরান্ত থেকে রোগীরা নারায়ণগঞ্জের বেসরকারি পর্যায়ের বিভিন্ন হাসপাতালে আসছেন। কিন্তু চিকিৎসক না থাকায় ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছে। অনেকে হাসাপাতালে রোগ পরীক্ষা করিয়েও চিকিৎসকের অভাবে রিপোর্ট পাচ্ছে না। এতে ব্যহত হচ্ছে জরুরী চিকিৎসা ব্যবস্থা।
ল্যাবেড হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা মতিন সিকদার নামের এক ব্যক্তি জানান, স্ত্রীকে নিয়ে এসেছিলাম। তারা কাউন্টার থেকে জানালো চিকিৎসক নেই। তাই রোগী নিয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছে। আমরা এই সমস্যার সমাধান চাই।
জানা গেছে, রাজধানীর সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নবজাতক ও প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় দুই চিকিৎসককে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সারা দেশে প্রাইভেট চেম্বার বন্ধের কর্মসূচি পালন অবস্টেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকোলজিস্টস সোসাইটি অভ বাংলাদেশ (ওজিএসবি)। চিকিৎসকদের অন্যান্য সংগঠনও তাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে। এতে চিকিৎসা নিতে এসে ভোগান্তিতে পড়েছেন রোগীরা।
বাঁধ্য হয়ে সরকারি হাসপাতালে গেলেও অতিরিক্তি রোগীর চাপে দুর্ভোগ বেড়েছে সেখানে। টিকিট কাউন্টারে হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতালের স্টাফদের। টিকিট নিয়ে চিকিৎসকদের চেম্বারের সামনে দীর্ঘদিন লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে রোগীদের।
আব্দুর রহমান নামের এক রোগী লাইভ নারায়ণগঞ্জকে জানান, তিনি অসুস্থ্য হয়ে হাসপাতালে পরিচিত চিকিৎসকের চেম্বারে গিয়ে ছিলেন। কিন্তু তিনি না বসায় খানপুরে যেতে হয়েছে। এখানে এসেও রোগীর চাপ বেশি থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
অন্যান্য দিনের তুলনায় রোগীর ভিড় অনেক খানপুর ৩’শ শয্যা হাসপাতালে। এতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সরকারি হাসাপাতালের চিকিৎসকদের। তারপরেও হাসপাতালের তত্বাবধায়ক বলছেন এই চাপ সামাল দিতে পারবেন তারা।
নারায়ণগঞ্জ ৩’শ শয্যা হাসপাতালের তত্তাবধায়ক ডাঃ মোঃ আবুল বাসার বলেন, বহির বিভাগে ৩০০ থেকে ৩৫০ জন রোগী বেড়েছে, জরুরী বিভাগে বেড়েছে ৫০ জনের মতো। এই রোগীর চাপ আমরা