শনিবার, নভেম্বর ২৩, ২০২৪
Led02জেলাজুড়েরাজনীতিসোনারগাঁস্বাস্থ্য

না.গঞ্জের বার্ন ইউনিট খোলা যায় কিনা চিন্তা ভাবনা করছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা.সামন্ত লাল সেন

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা.সামন্ত লাল সেন বলেছেন, সবেমাত্র দ্বায়িত্ব পেয়েছি। আমার প্রধান লক্ষ্য থাকবে প্রান্তিক পর্যায়ে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে উন্নত করা। সারা দেশে প্রান্তিক পর্যায়ে মানুষের দোড়গোড়ায় চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দিতে ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করবো। আমি বহু জায়গায় গিয়েছি আমার দীর্ঘ চিকিৎসক জীবনে। আমি বহু হেলথ কমপ্লেক্স ও উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে দেখেছি সেখানে কি অবস্থা। স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করবে সরকার এতে রাজধানী ও বিভাগীয় শহরে রোগীর চাপ কমবে।

শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) বেলা ১১ টায় সোনারগাঁয়ে বারদী ইউনিয়ন পরিষদের লোকনাথ ব্রহ্মচারী আশ্রম পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা.সামন্ত লাল সেন বলেন, আমি সারাদেশের বিভিন্ন জেলা সদর ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করে সেগুলোর উন্নয়নে কাজ করবো। একটি সিজারিয়ান রোগীর সিজার করতে কেন ঢাকায় আসতে হবে? তবে এগুলো একদিনে সম্ভব নয়। সারাদেশের প্রন্তিক পর্যায়ে জনগণের দোরগোড়ায় যেন স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেয়া যায় সেই লক্ষে কাজ করবো। আমাদের মনে রাখতে হবে, করোনা এখনো চলে যায়নি। যারা বয়জেষ্ঠ এবং নানা রোগে আক্রান্ত তারা জনসমাগম এড়িয়ে চলবেন এবং মাস্ক পরিধান করবেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমি সারা জীবন কোন দুর্নীতি করি নাই অনিয়ম করি নাই। চিকিৎসা ক্ষেত্রে কারো অবহেলায় কিংবা চিকিৎসকের গাফিলতিতে কোন রোগীর মৃত্যু হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কোথাও রোগীর মৃত্যু হলেই হাসপাতাল ভাঙচুর করা ঠিক না। তবে এও সত্য যে দেশে অনেক অবৈধ ক্লিনিক হাসপাতাল আছে যাদের লাইসেন্স বা সঠিক লোকবল ও অবকাঠামো নাই। এগুলেক চিহ্নিত করে বন্ধ করতে হবে। এছাড়া যারা সরকারি হাসপাতালের রোগী ভাগিয়ে চিকিৎসা নিয়ে ব্যবসা করেন, তাদেরকেও চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শীতের সময় বার্ণ রোগীর সংখ্যা বাড়তি থাকে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, জেলা ও বিভাগীয় হাসপাতাল গুলোকে সব ধরনের মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকবে বলা হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, নারায়ণগঞ্জে একটি শিল্প ঘন এলাকা, এখানে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। আগুনে পোড়া অনেক রোগী ঢাকায় যায়। তাই নারায়ণগঞ্জের কোনএকটি হাসপাতালে বার্ন ইউনিট খোলা যায় কিনা সেটি নিয়ে আমরা চিন্তা ভাবনা করছি। যে হাসপাতালে বার্ন ইউনিটি খোলা হবে সেই হাসপাতালের চিকিৎসকদের ঢাকায় বার্ন চিকিৎসা সম্পর্কে ট্রেনিং দেওয়া হবে। তারপরই ইউনিটি খোলা হবে। এছাড়া সরকার সারাদেশের প্রতিটি জেলায় বার্ন ইউনিট কেন্দ্র করার পরিকল্পনা রয়েছে। বাংলাদেশ বা বিশ্ব থেকে এখনো করোনা শেষ হয়ে যায়নি। তাই যারা বয়স্ক ও নানা রোগে আক্রান্ত তাদের সচেতন থাকতে হবে।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত, জেলা সিভিল সার্জন ডা. এ এফ এম মুশিউর রহমান, সোনারগাঁও আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এড. শামসুল ইসলাম ভূঁইয়া, সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপন দেবনাথ, পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম, বারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান বাবুল, নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি প্রবীর কুমার সাহা,সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ইব্রাহিম, সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাবরিনা হক, নারায়ণগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিখন সরকার শিপন, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বিষ্ণু পদ সাহা, সাধারণ সম্পাদক সুশিল দাস, বারদী লোকনাথ ব্রহ্মচারী আশ্রম পরিচালনা কমিটির সভাপতি অশোক কুমার রায়, সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক শংকর কুমার দাসসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

RSS
Follow by Email