না.গঞ্জের ৫টি আসনে ৩৪জন চূড়ান্ত, প্রত্যাহার ৫জন
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে, নারায়ণগঞ্জে চূড়ান্ত প্রার্থী হয়েছেন ৩৪ জন। এদের মধ্যে তিনটি আসনে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন ৫ জন। নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে তিনজন, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে ১জন, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে ১জন প্রত্যাহার করেছেন৷ রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকালে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ নির্বাচন কমিশন। এর আগে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদুল হকের কাছে প্রত্যাহারের চিঠি জমা দেন তাঁরা।
মনোনয়ন প্রত্যাহারকারী ৫জনের মধ্যে নারায়ণগঞ্জ ৩ আসনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন তিনজন স্বতন্ত্র প্রার্থী। তাঁরা হলেন রুবিয়া সুলতানা, এরফান হোসেন ও মারুফ ইসলাম ঝলক। এছাড়া নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী, দলের যুগ্ম মহাসচিব ছালাউদ্দিন খোকা। নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন মোর্শেদ হাসান (জাকের পার্টি)।
এছাড়া চূরান্ত ৩৪ জন প্রার্থীরা হলেন, নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে গোলাম দস্তগীর গাজী (বীরপ্রতিক)- (আওয়ামী লীগ), তৈমুর আলম খন্দকার- (তৃণমূল বিএনপি), শাহাজাহান ভুইয়া- (স্বতন্ত্র), গাজী গোলাম মর্তুজা- (স্বতন্ত্র), মো. হাবিবুর রহমান- (স্বতন্ত্র), মো. জোবায়ের আলম- (স্বতন্ত্র), মো. সাইফুল ইসলাম- ( জাতীয় পার্টির), মো. জয়নাল আবেদীন চৌধুরী- (স্বতন্ত্র), ও একেএম শহিদুল ইসলাম- (ইসলামি ফ্রন্ট বাংলাদেশ)। নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের নজরুল ইসলাম বাবু- (আওয়ামী লীগ), মো. আবু হানিফ হৃদয়- (তৃণমূল বিএনপি), শাহজাহান- (জাকের পার্টি), আলমগীর সিকদার লোটন- (জাতীয় পার্টি), পরে আরও ১জন মো. শরিফুল ইসলাম- (স্বতন্ত্র) থেকে প্রার্থীতা ফিরে পান। নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে কায়সার হাসনাত (আওয়ামী লীগ), লিয়াকত হোসেন খোকা (জাতীয় পার্টি), মো. মজিবুর রহমান মানিক (বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন), মোহাম্মদ আসলাম হোসেন (বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি), এবিএম ওয়ালিউর রহমান খান (বিএনএম), নারায়ণ দাস (বিকল্প ধারার বাংলাদেশ), মো. আরিফ (মুক্তিজোট) ও এ.এইচ.এম মাসুদ (স্বতন্ত্র)। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে একেএম শামীম ওসমান (আওয়ামী লীগ), মো. সৈয়দ হোসেন (সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ), মো. আলী হোসেন (তৃণমূল বিএনপি), মো. মূরাদ হোসেন জামাল (জাকের পার্টি), মো সেলিম আহমেদ (বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি), মো. হাবিবুর রহমান (ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ), মো. শহীদ উন নবী (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি) ও গোলাম মোর্শেদ রনি (বাংলাদেশ কংগ্রেস)। নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে একেএম সেলিম ওসমান (জাতীয় পার্টি), এএমএম একরামুল হক (ইসলামি ফ্রন্ট বাংলাদেশ), মো. আব্দুল হামিদ ভাষানী ভূঁইয়া (তৃণমূল বিএনপি) ও ছামসুল ইসলাম (বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি)।
জানা গেছে, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে গত ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনে ৪৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। তার মধ্যে ১২ জন স্বতন্ত্র ও ১৩ টি দলের ৩৩দলের প্রার্থী রয়েছেন। এর মধ্যে, আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ৪জন, জাতীয় পার্টির ৫জন, তৃণমূল বিএনপির ৪জন, জাকের পার্টির ৫জন, ইসলামি ফ্রন্ট বাংলাদেশের ৩জন, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির ৪জন, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের ১জন, বিএনএম এর ১জন, বিকল্প ধারার বাংলাদেশের ১জন, মুক্তিজোটের ১জন, বাংলাদেশ কংগ্রেসের ২জন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ১জন, সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের ১জন রয়েছেন।
নির্বাচন কমিশন সুত্রে জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জের মোট ভোটার ২২ লাখ ৫৫ হাজার ৬০জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১১ লাখ ৪৭ হাজার ৯৭৭ জন এবং নারী ভোটার ১১ লাখ ৭ হাজার ৬৬জন; তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ রয়েছে ১৭ জন। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩লাখ ৮৫ হাজার ৬১৬ জন। নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩লাখ ৩৩ হাজার ২৬৭ জন। নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে মোট ভোটার ৩লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৮জন। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে মোট ভোটার ৬ লাখ ৯৬ হাজার ১৩৯ জন। নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে ৪ লাখ ৪৪ হাজার।
উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ৩০ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, মনোনয়ন আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর, নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত।