না.গঞ্জ হাই স্কুল এন্ড কলেজে উৎসব মুখর পরিবেশে নবীন বরণ অনুষ্ঠিত
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: ঐতিহাসিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘নারায়ণগঞ্জ হাই স্কুল এন্ড কলেজে’ উৎসব মুখর পরিবেশের মধ্যে দিয়ে বার্ষিক মিলাদ, এসএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য দোয়া ও নবীন বরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের উপস্থিতিতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান।
জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দন শীলের সভাপতিত্বে ও নারায়ণগঞ্জ হাই স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক মো. মাহমুদুল হাসান ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর শওকত হাসেম শকু, কামরুল হাসান মুন্না ও মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের প্রতীকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর পবিত্র কুরআন তেলোয়াত, গীতাপাঠ ও বার্ষিক মিলাদের মধ্যে দিয়ে ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানটি ২টি ভাগে বিভক্ত হয়ে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। সেই সাথে নবীন শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়। এ সময় লোকসংগীতের সঙ্গে নাচ দিয়ে মনোজ্ঞ এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপহার দেয় স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্রছাত্রীবৃন্দ।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি সেলিম ওসমান বলেন, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে। আমরা ভালো একটি কালচারাল হাই স্কুল এই নারায়ণগঞ্জে চাই। শিক্ষার্থীদের আমরা বিভিন্ন প্রযুক্তি বিদ্যা দিতে পারি, যদি আমাদের কমিটির মধ্যে কোন রেশারেশি না থাকে। মাস্টার সাহেবদের অনুরোধ করি, কমিটির ব্যাপারে নাক গলাবেন না। ইতিহাস পড়েন আপনারা নিজেরা বঙ্গবন্ধুর সম্পর্কে, স্বাধীনতা, ১১ দফা নিয়ে ক্লাস করেন, তারপর আমাদের বাচ্চাদের নিয়ে শিক্ষা দেন। আজকে অনেক বাচ্চারা এসেছে যারা স্কুলে প্রথম ভর্তি হয়েছে। অনেক বাচ্চারা এসেছে প্রাইমারি স্কুল করে হাই স্কুলে, অনেক বাচ্চা আজকে চলে যাবে মেট্রিক পরীক্ষা দিবেখ আমরা তাদের জন্য দোয়া করব, তারা যেনো এসএসসি পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করতে পারে। আমাদের কাজ এইটা আজকে।
তিনি বলেন, আজকে অত্যন্ত সুন্দর যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হল আমি কৃতজ্ঞ হাই স্কুলের কাছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা নিয়ে যে গানটা গাওয়া হয়েছে, এর পুরুস্কারের যোগ্যতা রয়েছে। আমরা চাই বছরে কয়েকবার ওদেরকে (শিক্ষার্থীদের) উৎসাহ দেয়ার জন্য। আমরা চাই বঙ্গবন্ধু, ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা যুদ্ধের উপর রচনা প্রতিযোগিতা করার জন্য। এই বিষয়ে সামনে রচনা প্রতিযোগিতা হবে।