শুক্রবার, অক্টোবর ১৮, ২০২৪
Led02অর্থনীতিজেলাজুড়েসদর

পচতে শুরু করেছে পেঁয়াজ, প্রায় অর্ধেকে এসেছে দাম

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: দেশে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানী বন্ধের পর থেকেই পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। যোগানের চেয়ে চাহিদা বেশি বলে পেঁয়াজের দাম আকাশ ছুঁতে শুরু করে সপ্তাহখানেক আগে থেকেই। এর উপর কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের কৌশলের কারণে জনসাধারণের দুর্ভোগ যেন নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে। উচ্চ মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে নিম্নবিত্ত পরিবারে রান্নার সামগ্রী থেকে বাদ পড়েছে পেঁয়াজ। ফলে বাজারের পেঁয়াজ বাজারেই থেকে যাচ্ছে। সময় গড়াতে গড়াতে এই পেঁয়াজগুলো যাচ্ছে পচে, হচ্ছে অপচয়। শেষমেষ লোকসান কমাতে প্রায় অর্ধেক দামেই তা বিক্রি করছেন পেঁয়াজ বিক্রেতারা।

বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) নগরীর দ্বিগুবাবুর বাজারে গিয়ে এমন চিত্র ফুটে উঠে। বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতারা জানান, ভারত থেকে পেঁয়াজ সাপ্লাই বন্ধের পর থেকেই ঢাকা থেকে বিভিন্ন সাপ্লাইয়ার দাম বাড়িয়ে কেজি প্রতি ইন্ডিয়ান পেঁয়াজের ১৯৭ টাকা ও পাকিস্তানি পেঁয়াজ ১৬০ টাকা করে রাখে। সে দামেই ক্রয় করে দ্বিগুবাবুর বাজারের স্টকে আনা হয়। কিন্তু দাম বেড়ে যা্ওয়ায় পেঁয়াজ বিক্রয় অনেকটা কমে যায়। তার উপর কেনার ৪ থেকে ৫ দিন পেড়িয়ে যাওয়ায় পচা শুরু করেছে স্টকে থাকা পেঁয়াজগুলো পচে যাচ্ছে। তাই লোকসান কমাতে ১৯৭ টাকার ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ১২০ টাকায়, ১৬০ টাকার পাকিস্তানি পেঁয়াজ ১২০ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। এছাড়া দেশী পেঁয়াজ ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায়, নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজ ৯০ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ব্যবসায়ে লোকসানের পিছনে ‘সিন্ডিকেট’কে দায়ী করছেন পেঁয়াজ বিক্রেতারা। তাদের দাবি, পেঁয়াজ সরবরাহকারীরা দলবদ্ধ হয়ে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। যার কারণেই লোকসানের মুখোমুখি হতে হয়েছে।

এদিকে, পেঁয়াজের দাম জনসাধারণের নাগালের মধ্যে রাখতে নানা উদ্যোগ নিচ্ছে প্রশাসন। বাজার মনিটরিং. মোবাইল কোর্ট পরিচালনাসহ ন্যায্য মূল্যে পণ্য বিক্রয়ে জেলা কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসন একযোগে কাজ করে যাচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

RSS
Follow by Email