শনিবার, নভেম্বর ২৩, ২০২৪
Led02অর্থনীতিবিশেষ প্রতিবেদন

পূজোয় মার্কেটে নেই বেচাকেনা, ক্রেতার পদচারণার অপেক্ষায় ব্যবসায়ীরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইভ নারায়ণগঞ্জ: বাঙালী সনাতনী সম্প্রদায়ের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। দুর্গা মায়ের আগমনে নতুন সাজে সজ্জিত হয় হিন্দু ধর্মলম্বীরা। উৎসবকে কেন্দ্র করে এখনো নারায়ণগঞ্জের মার্কেটগুলোতে জমে উঠেনি বেচাকেনা। নিজেদের বর্ণিলভাবে রাঙাতে হিন্দু সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষ অভিজাত মার্কেট গুলো বর্তমানে ক্রেতাশূন্য। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও দ্রব্য মূল্যের উর্ধগতির কারণে পছন্দের পোষাকের দোকান গুলোতে নেই বিক্রির আমেজ। এতে বেশ হতাশায় রয়েছে ব্যবসায়ীরা।

বুধবার (৪ অক্টোবর) শহরের চাষাঢ়া হক প্লাজা, সান্তনা মার্কেট, সমবায় মার্কেট, কালির বাজারে ফ্রেন্ডস মার্কেট, ডিআইটি মার্কেটসহ প্রসিদ্ধ বিপনী বিতান ঘুরে দেখা যায়, পূজায় নতুন জামা কাপড়ে বেশ সজ্জিত্ব। তবে, শারদীয়া দুর্গোৎসবে জমে উঠেনি বিপনী বিতান গুলোতে কেনাকাটা। নতুন কাপড়ের সাথে সাথে জুতার দোকানেও ক্রেতা সংকট লক্ষণীয়। তবে ব্যবসায়ীদের ধারণা পূজোর বেচা কেনা শেষ দিকে জমে উঠবে, শেষ মুহূর্তে ক্রেতাদের পদচারণায় মুখর হবে মার্কেটগুলো।

এবারের পূজোর বাজারে মহিলাদের জামদানী শাড়ি, বুটিকস শাড়ি, বেনারসি শাড়ি, হ্যান্ড প্রিন্ট শাড়ি, রাজশাহী কটন শাড়ি, টাঙ্গাইলের কটন শাড়ি, মাসলাইস কটন শাড়ি, কাতান শাড়ি, মেয়েদের থ্রী পিস, সেলোয়ার-কামিজ, ফতোয়া, স্কার্ট-টপস, ছেলেদের প্যান্ট, শার্ট, লং ও শর্ট পাঞ্জাবি, ফতোয়া, শার্ট, জিন্স ও টি-শার্টসহ বাচ্চাদের নানা রঙ ও ডিজাইনের পোশাকের সমাহার ঘটেছে বিভিন্ন পোশাক বিপণীতে। তবে ক্রেতারা দাবী করছে ‘বিগতে সময়ের চেয়ে এবার জামা কাপড়ের দাম অনেকটাই বেশী। দ্রব্য মূল্যর উর্ধগতির প্রভাব জামা কাপড়ের দোকানেও বিদ্যমান।

নগরীর ডিআইটি একটি মার্কেটে শাড়ী কিনতে আসা প্রভাসী চক্রবর্তীর সাথে কথা হয়। তিনি লাইভ নারায়ণগঞ্জকে বলেন, যেহেতু বাজারে দ্রব্যমূল্য দাম বেশী, সেক্ষেত্রে কাপড়ের দোকানেও দাম অনেকটা বেশী। অন্যান্য বছরের থেকে এবার তুলনা মূলক সব কিছুরই দাম একটু বেশী। তবে এখন পর্যন্ত মোটামুটি ভালো মানের কাপড় ও নতুন নতুন অনেক কিছুই পাওয়া যাচ্ছে।

মানব কুমার দাস নামে আরেক ক্রেতা জানান, এবার পোশাকের বাজার মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে। সার্ভিক ভাবে এবার বেশ ভালো প্রস্তুতী থাকলেও দ্রব্যমূল্য দাম মানুষকে হয়রান করছে। জানিনা সামনে পরিস্থিতি কেমন হবে। পরিস্থিতির উপর নির্ভর করেই চলতে হবে।

শহরে ডিআইটি মার্কেটের বস্ত্র বিপনীর কর্ণধার মো. সেলিম মিয়া লাইভ নারায়ণগঞ্জকে বলেন, এখন গরম যেমন আছে, তেমনি বৃষ্টির আসা-যাওয়ার বিষয়টি মাথায় রেখেই ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী ভালো পণ্য আর সুলভ মূল্যকে বিবেচনায় রাখা হয়েছে। এবার আমাদের পূজায় বেচাকেনা এখনো শুরু হয়নি তেমন ভাবে। আশা রাখছি দুর্গাপূজার শুরু হওয়ার কয়েকদিন আগে আমাদের বেচাকেনার অবস্থা ভালো হবে। মানুষ সেচ্ছায় কেনাকাটা করবে।

আমিনুল ইসলাম নামে আরেক ব্যবসায়ী লাইভ নারায়ণগঞ্জকে বলেন, বাজারে জিনিস পত্রের যেই দাম, মাইনষে (মানুষ) কেমনে কিনবো। আমরা পাইকারী ওয়ালাগো থেইকা কিন্না (ক্রয় করা) আনি বেশী দামে। বেচতেও হয় বেশী দামে। মাইনষে কেমনে কিনবো এতো দাম দিয়া। দ্রব্য মূল্য দাম কম থাকলে আমাগো বেচা কিনা আরও ভালো থাকতো। যেমনটা ভাবছিলাম এবার তার চেয়েও খারাপ হইছে বাজার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

RSS
Follow by Email