শনিবার, নভেম্বর ২৩, ২০২৪
Led04অর্থনীতি

প্রধানমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় না.গঞ্জের ব্যবসায়ীরা ‘বিকেএমইএ’ করেছিলাম: সেলিম ওসমান

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: তৈরি পোশাক উৎপাদন ও রপ্তানিকারকদের শীর্ষ সংগঠন বিকেএমইএ‘র সভাপতি সেলিম ওসমান এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুপ্রেরণা ও নির্দেশনায় আমরা নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ীরা ‘বিকেএমইএ’ করেছিলাম। এই খাতের অনেক রকমের সমস্যা ছিলো, যা আমরা সমাধান করতে পেরেছি। সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল শ্রমিক অসন্তোষ, আমরা সবসময় চেষ্টা করেছি মালিক শ্রমিক এক টেবিলে বসে সমস্যা গুলোর সমাধান করতে।

বিকেএমইএ’র নতুন ভবন উদ্বোধন উপলক্ষে এই প্রতিবেদককে দেয়া এক প্রতিক্রিয়ায় সেলিম ওসমান এসব কথা বলেন।

নতুন ভবনটি নির্মানের পেছনে বিকেএমইএ’র পরিচালনা পরিষদের সদস্যদের অবদান রয়েছে উল্লেখ করেন সেলিম ওসমান বলেন, অনেক বাঁধা, বিপত্তি এড়িয়ে, জমি সংক্রান্ত জটিলতা নিরসণ করে চাষাঢ়া মোড়ে বিকেএমইএ‘র প্রধান কার্যালয় স্থায়ী ভাবে করতে পেরেছি। এর পিছনে অবদান রয়েছে আমাদের আগের পরিচালনা পরিষদের সদস্যদের। তারা জমির সমস্যার সমাধানের জন্য ৩৫ জনে ২ লাখ টাকা করে অনুদান দিয়েছে। পাশাপাশি বিকেএমইএ‘র উন্নয়নের স্বার্থে গত দুই বার নির্বাচন ছাড়াই আমার উপর তারা আস্থা রাখছে।

সংগঠনটির অগ্রগতীর বিষয়ে সেলিম ওসমান বলেন, গত দেড় বছর যাবত কোথাও কোন শ্রমিক অসন্তোষ নেই। ঈদের সময়ও তারা যেন ঠিক মতো বেতন বোনাস পায়। সেটাও বিকেএমইএ‘র থেকে কন্টোল করা হয়। মালিকার যেন কোন রকম সমস্যা তৈরি না করে শ্রমিকদের সাথে, সে জন্য কলকারখানা অধিদপ্তর ও শিল্প পুলিশের পাশাপাশি আমাদের টিমও কাজ করে। তারা কারখানা গুলোর পাশপাশ থেকে গোপন ভাবে তথ্য সংগ্রহ করে। কারণ শ্রমিকই আমাদের সম্পদ।

সেলিম ওসমান বলেন, পানি, আগুন ও শ্রমিক; এই তিনটি আমাদের মুল সম্পদ। পোশাক কারখানার বাকি সকল কিছুই আমদানীকৃত। আমাদের দেশীয় কোন জিনিষ নাই, যেটা দিয়ে আমরা রপ্তানি করতে পারি। পাটকে হারিয়ে আমরা নারায়ণগঞ্জকে পোশাক শিল্পের জন্য দাঁড় করাতে পেরেছি। বিসিককে পোশাক শিল্প নগরীতে দাঁড় করাতে পেরেছি। আমার বিশ্বাস আগামীতে বন্দর, সিদ্ধিরগঞ্জসহ আশপাশের এলাকাগুলোও বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে।

ভবন নির্মাণের জন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া প্রকাশ করে সেলিম ওসমান বলেন, তরুণ উদ্যোগতাদের আমরা বিভিন্ন ভাবে প্রশিক্ষিত করার চেষ্টা করছি। পাশাপাশি যারা নতুন ব্যবসা করতে আসছে, তাদেরকেও আমরা বিভিন্ন সুবিধার ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। আমরা প্রায় সময়িই তাদের ডেকে বুঝাই, উদ্যোক্তা হতে গেলে কি কি করতে হবে। কারণ আমরা চাই- পাটের মতো পোশাক শিল্প যেন হারিয়ে না যায়। ইনশাআল্লাহ যতদিন পৃথিবী থাকবে, ততদিন এই নীটওয়ার নারায়ণগঞ্জ থেকেই চলবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

RSS
Follow by Email