বন্দরে ঐতিহাসিক জশনে জুলুস, জাতির জন্য বিশেষ দোয়া
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: বন্দরে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) উপলক্ষে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে ঐতিহাসিক জশনে জুলুস শোভাযাত্রা ও আনন্দ র্যালী উদযাপিত হয়েছে।
প্রতি বছরের ন্যায় সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় বন্দরের মদনগঞ্জ বটতলা হতে জশনে জুলুস শোভাযাত্রা শুরু হয়ে বন্দরের প্রধান প্রধার সড়ক প্রদক্ষিন শেষে ঐতিহাসিক কদমরসূল দরগাহ শরীফ প্রাঙ্গনে মিলাদ ও মোনাজাতের মধ্যদিয়ে সমাপ্ত হয়।
পবিত্র জশনে জুলুস ঈদ এ মিলাদুন্নবী (সাঃ) শোভাযাত্রার নেতৃত্ব সহ আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন আওলাদে রাসুল পীরে কামেল আল্লামা সৈয়দ বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদী আল আবেদী। মোনাজাতে, দেশ, জাতি, সমগ্র মুসলিম উম্মাহ’র জন্য বিশেষ দোয়া পরিচালনা করা হয়।
এর আগে, সকাল থেকে হাজার হাজার আশেকে রাসুল ধর্ম প্রান মুসল্লী মদনগঞ্জ বটতলায় জড়ো হতে থাকে। এছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় হাজার হাজার নর-নারী ফুলের পাপড়ী ছিটিয়ে রাসুল (সাঃ) এর আগমনের আনন্দে উদযাপিত জুলুসকে অভ্যর্থনা জানায়।
জশনে জুলুস উদযান কমিটির বন্দর থানা শাখার সভাপতি ও বন্দর প্রেসক্লাবের সভাপতি মোবারক হোসেন কমল খান এর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন- জশনে জুলুস উদযাপন কমিটির বন্দর থানা শাখার সাধারন সম্পাদক হাজি আশাবুদ্দিন আশু, বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসানউদ্দিন আহাম্মেদ, এনসিসি ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আবুল কাউছার আশা, ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আফজাল হোসন, মাহাবুবুর রহমান কমল, জশনে জুলুস উদযাপন কমিটি বন্দর থানা শাখার সহ সভাপতি নুরুল ইসলাম, মোঃ কবির হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান কমল, শরিফ হাসান চিস্তি প্রমুখ।
আখেরি মোনাজাতের পূর্বে আল্লামা সৈয়দ বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদী বলেন, মুসলমান দেখতে তো সব এক রকম। তাহলে নবীর দুশমন আপনি কিভাবে চিনবেন? ঈদে মিল্লাদুন্নবী আসলে নবীর দুশমন চেনা যায়। ওরা নবীর আগমনে খুশি না। এজন্য তারা ঈদে মিল্লাদুন্নবী’র বিরোধীতা করে। নবীর শানে কোন কথা শুনলেই তাদের গা জ্বলে যায়। ওইসব বেদাতী মৌলবিদের চিহিৃত করতে হবে। যারা নবীর আগমনে খুশি হয়, মনে করবেন এরা নবীর আশেক। আর যারা নবীর আগমনের বিরোধীতা করে, মনে করবেন এরা নবীর দুশমন।
ধর্মপ্রান মুসুল্লিদের উদ্দেশ্যে আল্লামা সৈয়দ বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদী বলেন, আমরা আজ এসি-ফ্যানের নিচে বসে নামাজ আদায় করি। কিন্তু আমাদের নবী খেজুর গাছের ছায়ায় বসে নামাজ আদায় করেছেন।
মোবারক হোসেন কমল খান বলেন, সৈয়দ মোঃ আবেদ শাহ আল মাদানী (রঃ) এর নেতৃত্বে এই বাংলাদেশে সর্ব প্রথম জশনে জুলসের প্রতিষ্ঠা হয়। আজ ঈদে মিল্লাদুন নবী উপলক্ষে জশনে জুলস উদযাপিত হচ্ছে, এটা আমাদের জন্য অত্তন্ত গর্বের এবং আনন্দের। যে যাই বলুক, আমরা হকের পথে থাকবো। নবীর শিক্ষা বুকে ধারণ করে আমরা আমাদের জীবনে এগিয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ। সকলকে মনে রাখতে হবে, এটা কারো ব্যক্তিগত অনুষ্ঠান না; এটা নবী (সা.) এর শানের অনুষ্ঠান। এই জশনে জুলুস আমরা অতিতেও করেছি এবং ভবিষ্যতেও করবো।
আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জ শহরের নিতাইগঞ্জস্থ বায়তুল ইজ্জত জামে মসজিদ প্রাঙ্গন হতে দেশের সর্ব প্রাচীন ও বৃহৎ জশনে জুলুস ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী (সাঃ) শোভাযাত্রা বের হবে।
উল্লেখ্য, ১৯৭৪ সালে রাসুল (সাঃ) এর ৪০তম বংশধর জশনে জুলুসে ঈদ এ মিলাদুন্নবী (সাঃ) এর প্রতিষ্ঠাতা আবু নসর সৈয়দ মোঃ আবেদ শাহ আল মাদানী (রঃ) এর নেতৃত্বে সর্বপ্রথম বন্দরে জশনে জুলস শোভাযাত্রা উদযাপন করা হয়।