শনিবার, নভেম্বর ২৩, ২০২৪
Led03রাজনীতি

মহানগর কৃষক দলের কমিটি থাকছে নাকি ভাঙ্গছে

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: দুই দিন আগে ঘোষণা আসে বিএনপির বহিস্কৃত নেতা এড. তৈমূর আলম খন্দকার ‘তৃণমূল বিএনপি’তে যোগ দিচ্ছেন। এর পর ১৯ সেপ্টেম্বর ওই দলটির সম্মেলনে তৈমূরকে করা হয় মহাসচিব। এমন সংবাদের পর পরই আবারো শুর হয় ‘নারায়ণগঞ্জ মহানগর কৃষকদলের কমিটি’ নিয়ে বির্তক।


গত ২৯ মে এনামুল খন্দকার স্বপনকে সভাপতি ও মো. রশিদুর রহমান রশুকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু কমিটি ঘোষণার কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে কমিটি স্থগিত করা হয়েছিল। ২ মাস পর আবারও জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের নারায়ণগঞ্জ মহানগর শাখার আংশিক কমিটি দেওয়া হয়েছে। ১২ সেপ্টেম্বর ৯ সদস্যের ওই কমিটিতে সাধারণ সম্পাদকের পদ পান মো. রশিদুর রহমান রশু। এই রশু বর্তমান ‘তৃণমূল বিএনপি’র মহাসচিব তৈমূর আলমের ভাগিনা।

নারায়ণগঞ্জের এক নেতার তথ্য মতে, রশুর মতো কৃষক দলে আরও অনন্ত ৩জন স্বজন রয়েছে। আর এ কারনেই প্রশ্নে উঠেছে ‘মামা’ বিএনপি ছেড়ে ভিন্ন দলে যোগ দেয়ায় ভাগিনাদের কাছে কতটুকু নিরাপদ থাকবে কৃষকদল?

সমালোচকরা বলছেন, মামার পথেই কী পথে হাটবে তারা। আবার অনেকেই দাবি তুলেছেন, মহানগর কৃষক দলের এ কমিটি ভেঙ্গে নতুন ভাবে করার?

তাদের যুক্তি, ‘মহানগর কৃষক দলের কমিটি ঘোষনার পর, কেন্দ্রীয় ঘোষিত প্রথম কর্মসূচিতেই রশুদের দেখা যায়নি। অথচ ওই দিন বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিল’।
যদি মহানগর কৃষক দলের নেতাদের অভিযোগ, তাদেরকে বলা হয়নি।

এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন লাইভ নারায়ণগঞ্জকে বলেন, তৈমূর আলমের দল পরিবর্তণের সিদ্ধান্ত তার পরিবারও মানেনি। তাছাড়া নারায়ণগঞ্জে ওসমান পরিবার দুই ভাই দুই দলের রাজনীতি করছে । আমার মনে হয় না, মহানগর কৃষক দলের নেতারা জিয়ার আদর্শের সৈনিক হয়ে কাজ করবে না।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান লাইভ নারায়ণগঞ্জকে বলেন, আমরা কাউকে মাইনাস করতে চাই না। কেউ যদি আমাদের দলের হয়ে কাজ না করতে চায় তাকে তো আর জোর করা যায় না। যারা বিএনপি করবে তাদের দলের প্রতি বিশ্বস্ত থাকতে হয়, তৈমূর আলমের পরিবারের যারা এখনো বিএনপি রাজনীতির সাথে যুক্ত আছে তাদের প্রতি আমাদের কোন ক্ষোভ নাই। তাদের বাদ দেয়ার কোন চিন্তা নাই। তারা যদি তৈমূর আলমের সাথে যোগাযোগ স্থাপন রাখে, তাহলে সেটা দল সিদ্ধান্ত নিবে।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু লাইভ নারায়ণগঞ্জকে বলেন, বিএনপি হলো শহীদ জিয়ার আদর্শের তৈরী। যারা এই দল করে তারা এই আদর্শের বিশ্বাসী। কিন্তু কোন পরিবার তার পরিবারের কথাই বলবে, আত্মীয় তাদের নিজেদের কথাই বলবে। তাদের কাছে আদর্শ বড় না। অতএব নারায়ণগঞ্জ মহানগর কৃষকদল যেহেতু এক মুখি ও নিজের ভাগিনাদের দ্বারা গঠিত হয়েছে। তারা বিভিন্ন ওয়ার্ড ও থানা কমিটি গুলো গঠন হওয়ার পর, আওয়ামী লীগের দালাল তৃণমূল বিএনপি থেকে নির্বাচন করবে, তখন তারা তৈমূর আলমের হয়ে কাজ করবে। তাদের কাছ থেকে দলের জন্য কোন ভেনিফিট পাবো না। তৈমূর আলমের সোর্স হয়ে কাজ করবে। তাদের কাছে নেতৃত্ব মানায় না। আমরা কেন্দ্রে বিষয়টা জানাবো। বাকিটা কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নিবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

RSS
Follow by Email