শনিবার, নভেম্বর ২৩, ২০২৪
Led01অর্থনীতিজেলাজুড়েসদর

রোজার আগেই অস্থির বাজার, বেড়েছে মাছ ও শাক-সবজির দাম

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে হিমশিম খাচ্ছে খেটে খাওয়া মানুষ। তার উপর পবিত্র রমজান মাসকে ঘিরে নিত্যপণ্যের দাম বাড়তি দামে তাদের ভোগান্তি যেন নতুন মাত্রায় পৌছাচ্ছে। সারা দেশের ন্যায় নারায়ণগঞ্জেও পবিত্র রমজান মাসকে ঘিরে নিত্য পণ্যের বাজার অস্থির হয়ে উঠছে। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে নগরীর দিগুবাবুর বাজার সরেজমিনে গিয়ে এ চিত্র দেখা যায়।

শাকসবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে শাক-সবজির মূল্য ১০-২০ টাকা করে বৃদ্ধি পেয়েছে। আলু প্রতি কেজি ৪০-৫০ টাকা, পেঁয়াজ ১১০-১২০ টাকা, সিম ৬০-৮০ টাকা, বেগুন ৬০-৮০ টাকা, টমেটো ৪০-৫০ টাকা, মরিচ ৬০-৮০ টাকা, শসা ৭০-৮০ টাকা, আদা ১৯০-২১০ টাকা, রসুন ২০০-২২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আকারভেদে প্রতি পিস লাউ ৫০-৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৫০-৬০ টাকা ও প্রতি হালি লেবু ৪০-৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি শাক আটি ভেদে বিক্রি হচ্ছে- লালশাক ৩০ টাকা, লাউ শাক ৩০ টাকা, পালং শাক ৩০ টাকা ও ডাটা শাক ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

মুরগীর বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি ব্রয়লার ২০০-২১০ টাকা, কক মুরগী ৩০০-৩১০ টাকা, লেয়ার লাল মুরগী ২৯০-৩০০ টাকা, লেয়ার সাদা মুরগী ২৯০-৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহেও বিভিন্ন জাতের মুরগি একই দামে বিক্রি হয়েছিল। বর্তমানে প্রতি হালি লাল ডিম ৪৫ টাকা, দেশি মুরগির ডিম ৮০ টাকা ও হাঁসের ডিম ৭৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা। খাসির মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০০-১১৫০ টাকা দরে।

মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের তুলনায় মাছ বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতি কেজি ইলিশ মাছ ১০০০-১৬০০ টাকা, চিংড়ি মাছ ৯০০-২০০০ টাকা, বোয়াল ১০০০-১৫০০ টাকা, রুই মাছ ৩৫০-৪৫০ টাকা, কাতল ৩৫০-৪০০টাকা, পাঙ্গাস ২৫০-২৭০ টাকা, শিং মাছ ১০০০-১২০০ টাকা, কৈ মাছ ১০০০-১৩০০ টাকা।

বাজার করতে আসা আরিফুল ইসলাম বলেন, গত সপ্তাহে পেঁয়াজ ৯০ টাকা কেজি দরে কিনেছি, আজকে ১১০ টাকায় কিনতে হইছে। ভেবেছিলাম এখানে কিছুটা কম দামে পাবো, তাই নদী পাড় হয়ে এখানে বাজার করতে এসেছি। কিন্তু এ বাজারেও জিনিসপত্রের দাম অনেক বেশি। রোজার আগেই সবজি-তরকারির দাম বাড়া শুরু হয়ে গেছে।

বাজারে আরেক ক্রেতা সাজ্জাদ হোসাইন বলেন, প্রতি বছর রোজার আগেই জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় দেয়। এই বছর রোজার এক মাস আগেই জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় ফেলছে। স্বল্প আয়ে পরিবারের খরচ যোগাতে হিমিশিম খেতে হচ্ছে। যদি এভাবেই দাম বাড়তেই থাকে, তাহলে না খেয়ে মরা ছাড়া উপায় নাই।

দিগু বাবুর বাজারের নিত্যপন্যের দাম বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে বিক্রেতারা জানান, অতিরিক্ত মূল্যে তাদের পন্য কিনতে হচ্ছে। তাই ক্রেতাদের কাছে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

RSS
Follow by Email