শনিবার, নভেম্বর ২৩, ২০২৪
Led02জেলাজুড়েরাজনীতিসিদ্ধিরগঞ্জ

শামীম ওসমানের প্রশ্ন ‘ভোট পড়ে নাই, না দিতে দেওয়া হয় নাই?’

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী তার শেষ জনসভা নারায়ণগঞ্জে করেছিলেন। ৩ লাখের উপরে মানুষের ভিড় হয়েছিল। মানুষের এত বড় সমাবেশ হয়েছিল যে প্রধানমন্ত্রী নিরাপত্তা রক্ষীরা বলতে বাধ্য হয়েছে, শামীম ভাই আর মানুষ আসতে দিয়েন না। আর মানুষ আসলে চাপাচাপি অনেক হবে। অন্য কোথাও সমোবেশে মানুষ খুজতে হয়, কিন্তু আমাদের সমাবেশে লাখো মানুষের ভিড় জমেছিল। আলহামদুলিল্লাহ, এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় জয়। আপনারা যেভাবে সাড়া দিয়েছেন, যেভাবে কাজ করেছেন তার জন্য আপনাদের প্রতি আমি চির কৃতজ্ঞ।

সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগ আয়োজিত নির্বাচনোত্ত্বর এক পুণর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

শামীম ওসমান বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের জন্য যে খরচ হয়, সংসদ নির্বাচনের জন্য আমি তার চেয়েও কম খরচ করেছি। ১০ টি ওয়ার্ডে আমার ছেলের বয়সী যারা কাজ করেছে তাদের মধ্যে কয়েকজন আমাকে টাকা ফেরত দিয়েছেন। বাকিরা চেষ্টা করেছিলেন টাকা দেওয়ার, আমি নিই নাই। ইলেকশন আসলে ‘টাকা দেন টাকা দেন’ এমন এক পরিস্থিতি তৈরী হয়। আমার তেমন কিছুই হয় নি। আমি নিজে পোস্টার-ব্যানারের কাজ করিয়েছি, আমার কর্মীরা খুশিমনে কাজ করেছে। আলহামদুলিল্লাহ, আমার আর চাওয়ার কিছু নেই।

তিনি বলেন, আমি জানতাম আমার এলাকায় সর্বচ্চো কত শতাংশ ভোট পড়তে পারে। আমার হিসেব ছিল ৪১-৪২ শতাংশ ভোট পড়বে। কিন্তু ভোট পড়েছে ৩২ শতাংশ। বাকি ৯-১০ শতাংশ ভোট পড়ে নাই। পড়ে নাই, না পড়তে দেওয়া হয় নাই। এটাই এখন প্রশ্ন। একদল বলছে, মোবাইল নিয়ে ভোট দেওয়া নিষেধ। ভোটারদের যেতে দেওয়া হয় নাই। পুরুষ মানুষরা ফোন আশপাশে কোথাও রেখে ভোট দিয়েছিল। কিন্তু মহিলারা যারা ফোন নিয়ে গেছেন তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অন্তত ২টা সেন্টারে ১০০ থেকে ২০০ মহিলা ফেরত গেছে। অথচ তারা ভোট দিলে ৪১ শতাংশ ভোট কাস্ট হত। এটা পরিকল্পনা করে করা হয়েছে। এক দল গিয়ে প্রিজাইডিং অফিসারকে ধমক দেয়। বলে শামীম ওসমানের ভোট কাস্ট কমাতে হবে। তারা বোঝেনা শামীম ওসমান আলাদা এক চিজ হে! আমি গাড়ীতে একটা ট্রিপ দিলে ভোট ঠিকমতো হত। কিন্তু আমি বলেছি, এবারের নির্বাচন ১০০ ভাগ ফ্রি ও ফেয়ার হবে। আমরা দেখতে চেয়েছি কি হয়। রাতে হোন্ডার বাহিনী এলান করেছে ভোট কেন্দ্রে যাবি যারা, লাশ হয়ে ফিরবি তারা। ওরা ট্রাকে আগুন দিয়েছে, ট্রেনে আগুন দিয়েছে। মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে। সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

RSS
Follow by Email