শনিবার, নভেম্বর ২৩, ২০২৪
Led04সোনারগাঁ

সোনারগাঁয়ে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু, স্ত্রীর দাবি হত্যা

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: সোনারগাঁয়ে এক যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। স্বজনদের দাবি সে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে, তবে স্ত্রীর অভিযোগ পাওনা টাকার জেরে স্বজনদের মারধরে তার মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের তিলাবো এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। এঘটনায় সোনারগাঁ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

নিহতের নাম মো. সেলিম মিয়া। সে সোনারগাঁও উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের তিলাবো গ্রামের মো. ইয়াকুব আলীর ছেলে।

স্থানীয়রা জানায়, সেলিম মিয়া বেকার জীবন যাপন থাকাবস্থায় গত তিন মাস আগে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে স্থানীয় এনজিও প্রতিষ্ঠানসহ ব্যাক্তির কাছ থেকে ঋণ নিয়ে সংসার নির্বাহ করছেন। এছাড়াও তার আপন খালা হাসিনা বেগমের মাধ্যমেও সে এক লাখ টাকা ঋণ গ্রহন করেছেন। সেই ঋণের টাকা পরিশোধের জন্য তাদের চাপ প্রয়োগ করছেন। তবে সেলিম মিয়া এনজিও কর্মকর্তা ও ঋণ নেওয়া ব্যক্তিদের এড়িয়ে চলেন। তার খালাকেও ঋণ পরিশোধের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। গত সোমবার বিকেলে মো. সেলিম মিয়া স্ত্রী মরিয়ম বেগমকে নিয়ে তার শশুর বাড়ি পাশ্ববর্তী সেকেরহাট গ্রামে বেড়াতে যান। বিষয়টি জানতে পেরে খালা হাসিনা বেগম তার ভাতিজা যোবায়ের হোসেন রাজুকে নিয়ে সন্ধ্যার পর তার শশুর বাড়িতে গিয়ে তাকে ডেকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। খালা হাসিনা বেগম তাকে ঋণ পরিশোধের জন্য অপমান অপদস্ত করেন। এ অপমান সহ্য করতে না পেরে সেলিম মিয়া ঘরের আড়ার সাথে রশি বেঁধে আত্মহত্যা করেন। বিষয়টি জানতে পেরে খালা হাসিনাসহ স্বজনরা ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নামিয়ে মদনপুর একটি বেসরকারী হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে, নিহতের স্ত্রী মরিয়মের দাবি তার স্বামীকে মারধর করে হত্যা করেছে স্বজনরা। সোমবার বিকেলে তারা দুজন বেড়াতে গেলে সেখান থেকে তার খালা শাশুড়ি হাসিনা বেগম এসে তার স্বামীকে বাড়িতে নিয়ে যায়। রাত সাড়ে ১১ টায় আমার স্বামী ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে তাকে জানানো হয়। মৃত্যু সংবাদ পেয়ে বাড়িতে গিয়ে জানতে পারেন তার স্বামীকে পাওনা এক লাখ টাকার জন্য হাসিনা বেগম ও তার ভাতিজা যোবায়ের হোসেন রাজু মারধর করে। মারধরেই তার মৃত্যু হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমার স্বামী ফাঁসি দিয়ে থাকলে লাশ ঝুলন্ত থাকতো। লাশ হাসপাতালে কেন?। আমি এ হত্যাকান্ডের বিচার দাবি করি।

তালতলা বাজার তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো.জাকির রাব্বানী বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহতের স্ত্রী হত্যার অভিযোগটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। ময়না তদন্ত প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে নিহতের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

RSS
Follow by Email