স্ত্রীর শখ পূরণ করে হেলিকপ্টারে উড়িয়ে নিয়ে গেলো স্বামী
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: এক সময়ে মধ্যযুগের রূপকথার গল্পে অধিকাংশ নারীদের স্বপ্ন লক্ষ্য করা যেতো ‘এক রাজপুত্র ঘোড়ায় চড়ে আসবে, আমাকে রাজকুমারী বানিয়ে নিয়ে যাবে’। কিন্তু বর্তমানে আধুনিক সংস্কৃতিতে নতুনত্ব স্বপ্ন বুনে নারীরা। তেমনি একটি বাস্তবচিত্র নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ফুটে উঠেছে। সিদ্ধিরগঞ্জের হীরাজিল এলাকার মেয়ে মেহেরুন আক্তারের শখ পূরণে করতে হেলিকপ্টারে করে শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে হাজির হন তার স্বামী আল আমিন শ্রাবণ।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে রূপগঞ্জের তারাব পৌরসভার রূপসী এলাকা থেকে চিটাগাং রোডের হীরাঝিল এলাকায় হেলিকপ্টারে চড়ে স্ত্রীকে আনতে যান আল আমিন শ্রাবণ।
রূপগঞ্জের রূপসী এলাকার ব্যবসায়ী আতরুদ্দিনের দুই ছেলে–মেয়ের মধ্যে আল আমিন ছোট। কনে মেহেরুন আক্তারের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ হিরাঝিল এলাকায়। দুজনের বাড়ির দূরত্ব প্রায় ৯ কিলোমিটার। পড়াশোনায় স্নাতক শেষে এখন বাবার টাইলসের ব্যবসা দেখভাল করেন আল আমিন। প্রায় তিন মাস আগে মেহেরুন আক্তারের সঙ্গে আল আমিনের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। আজ ছিল তাঁদের বিবাহোত্তর সংবর্ধনা। এই উপলক্ষে আল আমিন হেলিকপ্টারের চড়ে হিরাঝিলে যান মেহেরুনকে নিজের বাড়িতে তুলে আনতে।
দুপুরে রূপসী নিউ মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে হেলিকপ্টার এসে নামলে শত শত উৎসুক মানুষ এসে ভিড় করেন। এরই মধ্যে সজ্জিত ঘোড়ার গাড়িতে করে বাড়ি থেকে বিদ্যালয় মাঠে আসেন বর। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে চড়ে যান কনের বাড়িতে। বিকেলে আবার কনের বাড়ি থেকে একই মাঠে এসে হেলিকপ্টার নামে। ঘোড়ার গাড়িতে করে বাড়ি যান বর-কনে।
বর আল-আমিন শ্রাবণ বলেন, আমার স্ত্রীর শখ ছিল তাকে যেন হেলিকপ্টারে করে বাড়িতে আনি। আমার বাবা-মাও চেয়েছেন আমি যেন স্ত্রীর শখ পূরণ করি। সেজন্যই হেলিকপ্টারে করে স্ত্রীকে আনতে গিয়েছিলাম।
শখ পূরণ হওয়ায় উচ্ছ্বসিত মেহেরুন আক্তার বলেন, ছেলেবেলার শখ বিয়েতে এসে পূরণ হলো।