স্থিতিশীল মাংসের বাজার, চাহিদা কম ক্রেতাদের
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: দৈনিক খাদ্য তালিকায় মানুষের শরীরে প্রোটিনের প্রয়োজন হয়। সেক্ষেত্রে খাদ্য তালিকায় মাংস অত্যাবশ্যকীয় পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি পূরণ করে। কিন্তু খাদ্য দ্রব্য ও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের বাজারে, সেই মাংসের চাহিদা পূরণ করা সাধারণ মানুষের কাছে হয়ে উঠেছে এক ধরণের বিলাসিতা। নিন্মবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের নাগালের বাহিরে গরুর মাংসের দাম। এতে গরুর মাংস থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে সাধারণ ভোক্তারা।
এদিকে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে নগরীর দীগু বাবুর বাজারে মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বিগত সপ্তাহে মাংসের বাজারে দামের ওঠা নামা না থাকলেও ক্রেতাদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি। কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া গত কয়েক বছরে দেশের মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় ধারাবাহিকভাবে বাড়লেও সেভাবে আয় বৃদ্ধি পায়নি। নিত্যদিনের অন্যান্য পণ্যের দাম বেশি থাকায় সীমিত আয়ের মানুষের পছন্দ তালিকা থেকে সরে আসছে লাল মাংস নাম। খাদ্য তালিকায় মাংস পুষ্টিগুনে অপরিহার্য হলেও সীমিত আয়ের মানুষদের কাছে বিকল্প হিসেবে মাছ বা সবজি বেছে নিচ্ছেন। খুব বেশি দরকার ছাড়া তারা মাংস ক্রয় করছেন না।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) নগরীর দিগুবাবুর মাংসের বাজারে দেখা যায় কিছুটা এমনই চিত্র। গরুর মাংশ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা কেজিতে। ব্যবসায়ীরা জানায় বেশ কয়েদিন যাবৎ মাংসের বাজার স্থিতিশীল থাকলেও ক্রেতা কম।
একজন মাংস ব্যবসায়ী জানান, নির্বাচনের আগে বাপ্পিচত্তরসহ আরো বিভিন্ন জায়গায় মাংসের দাম ৬৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। কিন্তু আমাদের এখানে দাম আগের মতোই ছিলো। এখনো আমরা মাংসের কেজি ৭০০ টাকা থেকে ৭৫০ টাকা দরে বিক্রি করছি। ক্রেতা কম আগের তুলোনায়। মানুষের ইনকাম কমে গেসে তাই একটু কম কেনে।
একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মরত মহিবুল ইসলাম বলেন, ছেলে মেয়ের বায়না ছিলো একটু নতুন বছর হিসেবে গরুর মাংস খাওয়ার। তাই এসেছিলাম পরিবারের জন্য কিছু মাংস নিয়ে যেতে। কিন্তু এখানে এসে মাংসের দাম দেখে ফিরে যেতে বাধ্য হলাম। যে কোন কারণ দেখিয়ে এরা মাংসের দাম বাড়িয়েই যাচ্ছে। যে হারে তারা মাংসের দাম বাড়াচ্ছে সে হারে তো আমাদের আয় বাড়ছে না।