শুক্রবার, অক্টোবর ১৮, ২০২৪
Led02রাজনীতি

২১ বছর মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট লুকিয়ে রাখতে হয়েছিল: মন্ত্রী গাজী

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এবং নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক বলেছেন, যখন স্বাধীনতা বিরোধীরা ক্ষমতায় ছিল, দীর্ঘ ২১ বছর আমাদের মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট লুকিয়ে রাখতে হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধার কথা বললে চাকরি দেওয়া হতো না। এ সময় মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর হামলার পর হামলা হয়েছে।


শুক্রবার (২৫ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড আয়োজিত আলোচনা সভা ও জেলা কনভেনশনে এসব কথা বলেন তিনি। এতে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নই আমাদের অঙ্গীকার’ স্লোগানে চাকরিতে কোটা পুনর্বহাল ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে সরকার গঠনে মুক্তিযুদ্ধের ধারা অব্যাহত রাখার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।

আবারও স্বাধীনতা বিরোধীরা সংগঠিত হচ্ছে জানিয়ে গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক বলেন, যেসব দেশ মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল, স্বাধীনতা বিরোধীরা তাদের সঙ্গে আবার হাত মিলিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। স্বাধীনতা বিরোধী চক্র আবারও শেখ হাসিনাকে উৎখাতের ষড়যন্ত্র করছে। মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানরা এখন যুবক, তাদের এ ষড়য়ন্ত্র নামক রাজনৈতিক যুদ্ধ করতে হবে। কারণ আমাদের বয়স হয়েছে। এ রাজনৈতিক যুদ্ধে যদি সফল না হন তবে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের কোনো দাবি আদায় হবে না। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সদস্য সংখ্যা বাড়াতে হবে। জেলায় জেলায় এ ধরনের আয়োজন করতে হবে।

পাটমন্ত্রী আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে আমাদের মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের প্রথম সম্মেলনে উপস্থিত হয়েছিলেন। এটি ছিল একটি ঐতিহাসিক দিন। পঁচাত্তরের আগস্টে আমরা তাকে হারিয়েছি। দীর্ঘদিন পর বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসলেন। আমরা মুক্তিযোদ্ধারা আলোর মুখ দেখতে পেলাম।

স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র রচয়িতা মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম এই কনভেনশনের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- সাব-সেক্টর কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম (এসপি মাহবুব), রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আলী সিকদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা শব্দ সৈনিক একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক ড. মনোরঞ্জন ঘোষাল, আমেনা নূর ফাউন্ডেশনের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা আহম্মদ আল জামান (সিআইপি), নির্বাচিত জেলা কমান্ডার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মোজাম্মেল হক, নির্বাচিত জেলা কমান্ডার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মো. আবু সাঈদ মিয়া, মুক্তিযুদ্ধ সংহতি পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদ পিন্টু প্রমুখ।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মেহেদী হাসান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

RSS
Follow by Email