বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ১০, ২০২৪
Led02রাজনীতিরূপগঞ্জ

ছাত্রদলের ৪ নেতা গ্রেপ্তার; এসপি জানান, ‘নাশকতার মহাপরিকল্পনা ছিলো’

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: রূপগঞ্জে মহাসড়কে অবরোধ, গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও নাশকতার সঙ্গে জড়িত ঘটনায় ছাত্রদলের ৪ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে ককটেল, পেট্রলবোমা ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

সোমবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি সুলতান মাহমুদ, রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব মাসুদুর রহমান, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফ বিল্লাহ ও দাউদপুর ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা তৌহিদ হাসান।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আজ (৬ নভেম্বর) ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রূপগঞ্জ থানার একটি চৌকস টিম দাউদপুর ইউনিয়নের কাজিরবাগ এলাকার জনৈক সাইফুল ইসলামের দোতলা বাড়ি থেকে ১২টি ককটেল, ১০টি পেট্রলবোমা, একটি বিদেশি পিস্তল ও ম্যাগজিনসহ তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হরতাল ও অবরোধে গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের পরিকল্পনায় ও ঘটনায় জড়িত বলে স্বীকার করেছে বলে জানান পুলিশ সুপার।

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় নাশকতার একাধিক মামলা রয়েছে। তাদের অন্যান্য সহযোগী ও হুকুমদাতাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। এ ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় গ্রেপ্তার ও পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, গত ২৮ তারিখ পরবর্তী হরতাল ও তিন দিনের অবরোধে নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশে গাড়ি পোড়ানো ও সহিংসতার ঘটনা দেখেছি। রূপগঞ্জে একটি কভার্ডভ্যানে আগুনসহ যে ভাঙচুর ও নৈরাজ্য পাশাপাশি আড়াইহাজারের পাচরুখী এলাকায় পুলিশের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় আমরা ভিডিও দেখে নিশ্চিত হয়েছি এসকল ঘটনায় সরাসরি কারা জড়িত। অনেকেই এর সঙ্গে জড়িত। রূপগঞ্জ থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুলতান মাহমুদ ও মাসুদুর রহমান মাসুদ, আরিফ ও তৌহিদকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র আমরা পেয়েছি।

জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, তারা যে গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছে এর সঙ্গে বিএনপির সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ সরাসরি সম্পৃক্ত। জেলা বিএনপির প্রেসিডেন্ট সেক্রেটারি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারাও এর সঙ্গে জড়িত। মোবাইলে আমরা তাদের যোগাযোগ পেয়েছি। সেখানে মেসেজ অপশনে দেখেছি ২৮ তারিখের পরবর্তী গাড়ি পোড়ানোর ঘটনায় নির্দেশনা পেয়েছি।

তিনি বলেন, ঢাকার আশেপাশের জেলাগুলোতে এই যে আগুন সন্ত্রাস ও নাশকতার ঘটনা ঘটছে আমাদের এ এলাকায়ও তারা এগুলো করেছে এবং ভবিষ্যতেও তারা ব্যাপক ভাবে এগুলো করার মহাপরিকল্পনা নিয়েছিল। আমরা মনে করি এটা আমরা প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়েছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

RSS
Follow by Email