রবিবার, অক্টোবর ৬, ২০২৪
Led02জেলাজুড়েবন্দররাজনীতি

বন্দরকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী

যদি জনগণ ভোট দেয় আবার আসবো,না দিলে আফসোস থাকবে না: প্রধানমন্ত্রী

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১০টি প্রকল্প, ফতুল্লায় পঞ্চবটী থেকে মুক্তারপুর রাস্তা প্রসস্ত ও দোতলা রাস্তা নির্মাণ, বন্দরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীন এবং গৃহহীন পরিবারকে গৃহ প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সকালে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে অবকাঠামোগুলোর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও উদ্বোধন করেন। সিটি কর্পোরেশনের ১০টি প্রকল্পে ব্যয় উল্লেখ করা হয়েছে ৫০০ কোটি টাকা।

এছাড়া দেশব্যাপী ২৪টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ১৫৭টি প্রকল্পের ৫ হাজার ৩৬০টি অবকাঠামোর সমন্বিত উদ্বোধন, এবং ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ৫ হাজার ৩৯৭টি ভূমিহীন এবং গৃহহীন পরিবারকে গৃহ প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসব প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৭ হাজার ৪৭১ কোটি ৩ লাখ টাকা।

একসঙ্গে এত উন্নয়নকাজ উদ্বোধনের কারণ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ যদি ক্ষমতায় আসতে নাও পারে, নতুন সরকার যেন বলতে না পারে যে বর্তমান সরকার কোনও উন্নয়ন কাজ করেনি।

প্রধানমন্ত্রী তার অতীত অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে বলেন, আজ আমরা সমবেত হয়েছি— আমরা যে উন্নয়ন কাজগুলো করলাম, সেগুলো উদ্বোধন করতে। এর পেছনের কারণ একটু বলি, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে আমরা অনেকগুলো কাজ করেছিলাম। খুলনার রূপসা ব্রিজ থেকে শুরু করে কুড়িগ্রামের ধরলা ব্রিজ, ঝালকাঠির গাবখান ব্রিজ; এছাড়াও মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল, কলেজসহ এরকম অনেকগুলো কাজ আমরা করেছিলাম। কিন্তু যেগুলো করেছি, সেগুলো উদ্বোধন করতে পারিনি। পরবর্তী যারা (ক্ষমতায়) এসেছে, সরকার গঠনের এক মাসের মধ্যে গাবখান ব্রিজ উদ্বোধনের সময় শুনলাম, খালেদা জিয়া (বিএনপি চেয়ারপারসন) বক্তৃতা দিচ্ছেন— আগের সরকার কোনও কাজই করেনি, উন্নয়ন করেনি।

বিএনপি সেসময় ক্ষমতা গ্রহণের মাত্র এক মাসের গাবখান ব্রিজ উদ্বোধন করা হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর মানে হলো এক মাসের মধ্যে তিনি (খালেদা জিয়া) একটা ব্রিজ তৈরি করে ফেলেছেন। গাবখান ব্রিজ অনেক বড় ব্রিজ, বিশাল এক নদীর উপরে। তো আমাদের শুনতে হলো আমরা কিছুই করিনি। তো এবার আমরা যেটুকু কাজ করেছি, সেটুকু উদ্বোধন করবো, সেটা হলো বাস্তবতা। সেজন্যই আজ এই আয়োজন। যে যেগুলো বাকি আছে, সেগুলো অন্তত করে দিয়ে যাই।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সামনে ইলেকশন হবে, তারপর যদি জনগণ নৌকা মার্কায় ভোট দেয় আবার আসবো, আর না দিলে আমার কোনও আফসোস থাকবে না। কারণ আমি তো দেশকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় নিয়ে এসেছি। এটুকু তো নিশ্চিত করতে পেরেছি।

‘জনগণের ভোটের অধিকার আওয়ামী লীগই নিশ্চিত করেছে’উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণ স্বাধীনভাবে ভোট দেবে। অনেকেই ভোটে আসতে চায় না। কারণ যারা এর আগে ৩০টা আসন যারা পেয়েছিল, তাদের তো নির্বাচনে আসার আকাঙ্ক্ষাই থাকবে না। নির্বাচন বানচাল করে একটা অস্বাভাবিক পরিস্থতি সৃষ্টি করে দেশের মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলানোই তাদের চেষ্টা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

RSS
Follow by Email