বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ১০, ২০২৪
Led03রাজনীতিরূপগঞ্জ

শাহজাহানের প্রার্থীতা বাতিলের চেষ্টায় গাজী পরিবার!

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে জমে উঠেছে বিভিন্ন আসনে প্রার্থীদের নির্বাচনি আমেজ। বাদ পরেনি নারায়ণগঞ্জও। তবে এই জেলায় সবচেয়ে কঠিন লড়াইয়ের সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনে। আসনটিতে আরও দুইজন হেভিওয়েট প্রার্থী থাকায় চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য হওয়ার পথে বাঁধার মুখে পরেছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজী। যার মধ্যে একজন প্রার্থী নিজ দলের। আরেকজন অন্য দলের শীর্ষ নেতা।

এছাড়া, এবার নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন গাজীপুত্র গোলাম মর্তুজা পাপ্পা। যদিও আগামী ১৭ ডিসেম্বর চুরান্ত ভাবে জানা যাবে যে, নির্বাচন করবেন নাকি প্রার্থীতা প্রত্যাহার করবেন।

জানা গেছে, টানা তিনবারের মতো সংসদ সদস্যের দায়িত্ব পেয়ে রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন ধরেই গোলাম দস্তগীর গাজী ও তার পরিবারের সদস্যদের অধীনেই ছিলো। তবে, ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর থেকে ধীরে ধীরে পাল্টাতে শুরু করে চিত্র। তার শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী ও রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান ভূইয়া দাঁড়িয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে। দেশের প্রভাবশালীদের সংস্পৃষ্টে থেকে রূপগঞ্জ আওয়ামী লীগের অনেকাংশের নিয়ন্ত্রক এখন শাহজাহান ভূইয়া। পুরো উপজেলায় রয়েছে তার কর্মী সমর্থক। যা গোলাম দস্তগীর গাজীর জন্য এখন চিন্তার বিষয়।

অন্যদিকে, নারায়ণগঞ্জ-১ আসন থেকে এবার নির্বাচন করবেন তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব এড. তৈমুর আলম খন্দকার। রূপগঞ্জের স্থানীয় হওয়ায় তাকেও আসনটিতে এবার হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। যাতে গাজীর ভোট ব্যাংকে পরতে পারে ভাটা।

সুত্র মতে, তৈমুরকে নিয়ে বেশি চিন্তিত না হলেও শাহজাহান ভূইয়া বর্তমানে গাজী পরিবারের বড় বাঁধা বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এমনকি তার প্রার্থীতা বাতিলের চেষ্টাও করা হচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে। যার কিছুটা ইঙ্গিত দিয়েছেন খোদ শাহজাহান ভূইয়া।

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র বাছাই শেষে বৈধ প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হবার পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমার প্রতিপক্ষ গোলাম দস্তগীর গাজীর প্রস্তাবকারী আলমাস অভিযোগ করেছে যে হোল্ডিং ট্যাক্সের বিষয়টি জানাতে হবে এবং বকেয়া থাকলে নোটিশ করতে হবে। নোটিশের পর না দিলে আমার বকেয়া। ২০২৩-২৪ এখনও চলমান। এ অবস্থায় আপত্তি দেয়া চলে না। তারা চায় আমি এখান থেকে সরে যাই। আমি যেন ভোটে দাঁড়াতে না পারি সেই অপকৌশল তারা আজ প্রয়োগ করতে চেয়েছিল।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

RSS
Follow by Email